গাইবান্ধার ডেভিড কোম্পানি পাড়ার বাসিন্দা জাহিদ পারভেজ জনি কর্তৃক ঢাকার আইন বিভাগের ছাত্র, গাইবান্ধা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ সারোয়ার কবির এর ১ম পুত্র শাহ সিরাতি মাযহাব এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও তার পিতা শাহ সারোয়ার কবির এর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ-প্রচার এর প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে শহরের সমবায় মার্কেটের ২য় তলায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শাহ সিরাতি মাযহাব।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শাহ সিরাতি মাযহাব বলেন- সে গাইবান্ধা ডেভিড কোম্পানি পাড়ার বাসিন্দা, গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ সারোয়ার কবির এর প্রথম পুত্র ও দেশের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আদমজী ক্যন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করে নর্থ সাউথ ইউনির্ভাসিটিহ ইতে আইন বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে।
পড়াশুনা ও প্রাকটিসের কারনে তাকে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এ ব্লকের ৪১০ নং বাসায় ২০১৮ সাল থেকে বসবাস করে আসছে। জনির ঢাকায় থাকার মতো কোন জায়গা না থাকায় ২০২২ সালের জুন মাসে জাহিদ পারভেজ জনি ঢাকায় আমার বাসায় যায়।
জনি পূর্ব পরিচিত ও গাইবান্ধার একই এলাকার হওয়ায় সরল বিশ্বাসে তাকে আমার সাথে ঢাকার বাসায় থাকতে দিলে জনি প্রায় সময় আমার টাকা ও বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করিত। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ই ফেব্রুয়ারী ২৩ ইং তারিখ রাত ৮ টার দিকে জনি আমার রুমের আলনায় থাকা ফুল প্যান্টের পকেট থেকে ১৭ হাজার ৫ শত টাকা চুরি করে। ওই সময় আমি বাসায় এসে জনিকে হাতে নাতে ধরে ফেলে তাকে বাসা থেকে বের করে দিলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ৪থেকে ৫ জন অজ্ঞাত যুবকসহ আমার বাসায় এসে আমাকে হুমকী ধামকি দিয়ে চলে যায়। পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও চিকিৎসাজনিত কারনে দেশের বাহিরে থাকাসহ নানা ব্যস্ততায় জনির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। ঈদুল আযহা উপলক্ষে ঢাকা থেকে গাইবান্ধায় আসলে ঈদের দিন ২৯ জুন ২০২৩ ইং তারিখে রাত অনুমানিক ৯ টার সময় আমি দাস বেকারী মোড়ে গেলে জাহিদ পারভেজ জনি কয়েকজন অজ্ঞাত কয়েকজন যুবককে সাথে নিয়ে আমার উপর অতর্কিত হামলা করে। এসময় তারা আমার পকেটে থাকা ২০হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমার চিৎকারে আশেপাশের লোকজনের ধাওয়া খেয়ে জনি ও তার লোকজন পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা আমাকে বাসায় পৌচ্ছে দেয়। বাসায় চিকিৎসাধীন থাকার সুযোগে অভিযুক্ত জনি আমার নামে বিভিন্ন জায়গায় কুৎসা রটাতে থাকে। এবং বেশ কিছুদিন আগের মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হওয়া নিজের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে করে যে আমি তাকে মেরেছি। এছাড়াও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভূল তথ্য দিয়ে আমার নামে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে যা মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি। এ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
মূলত- আমার বাবার দাদা শাহ আব্দুল হামিদ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রথম স্পীকার সহ আমার দাদাও ছিলেন বিজ্ঞ আইনজীবী ও রাজনৈতিক নেতা। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার পিতা শাহ সারোয়ার কবীর আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং তৃণমূল পর্যায়ে তার ব্যাপক জনপ্রীয়তা ও সমর্থনে তিনি এগিয়ে আছেন। আমার পিতার জনপ্রিয়তায় একটি কূচক্রী মহল আমার ও আমার বাবার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য আমাকে নিয়ে মিথ্যা ও ভীত্তিহীন প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৯ জুন ২৩ ইং তারিখ রাতে শহরের ডেভিটকোম্পানি পাড়ার মৃত আব্দুল হালিম চৌধুরীর পুত্র জাহিদ পারভেজ জনি গাইবান্ধা সদর থানায় অভিযোগ করেছে – আমি জনিকে ডেভিড কোম্পানি পাড়া, ( উত্তরপাড়া ১নং সরকারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) এর মাঠে নিয়ে গিয়ে মারধর করে জখম করেছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে।
বিডি গাইবান্ধা/