বিশ্বায়নের এই যুগে কৃষিপ্রধান দেশের বানিজ্যিক ইতিহাসে একটি পণ্যের মূল্য এতবেশি বাড়বে তা কখনোই কল্পনা করার মত নয়। দেশের বানিজ্যিক সেবায় একটা বড় ধরনের অবহেলাও এর জন্য দায়ী। কাঁচা মরিচের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির যত ধরনের ব্যাখ্যাই দেওয়া হোক না কেন, দেশের বাজার মনিটরিং ব্যবস্হার ভঙ্গুর পরিস্হিতিই এর জন্য অনেকাংশে দায়ী। দেশে বিরাজ করছে দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি যা মানুষের ক্রয় সীমার বাহিরে চলে গেছে। দেশের মানুষ সুখে নেই তার প্রমাণ মিলবে বাজারগুলো একটু ঘুরে দেখার মধ্য দিয়ে। কাঁচা মরিচ বহু পূর্ব থেকেই কাঁচামাল হিসেবেই আছে এবং থাকবে। দেশে কোনো বড় ধরনের বন্যাও হয়নি। দেশের কোথাও কোথাও ভারিবৃষ্টি হয়েছে মাত্র,এটি শতবছর আগেও ছিল এখনো আছে। বাজার মনিটরিং এর অব্যবস্হাপনার সুযোগে একদল কুচক্রি মহল সেন্ডিকেট ভিত্তিক কাঁচা মরিচের বাজার মূল্য নির্ধারন করেছেন। দেশের কোথাও কোথাও কাঁচা মরিচ কেজিতে কিনতে হয়েছে ৭০০-১২০০ টাকা পর্যন্ত। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ,বেলকা,মীরগঞ্জ,শোভাগঞ্জ,পাঁচপীর সহ বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ী এবং সাধারন জনগণের সাথে কথা হলে তারা বলেন, কাঁচামরিচের ব্যবহার অনেক পূর্ব থেকেই আছে এবং তা থাকবে। দেশে অতিবৃষ্টি,অনাবৃষ্টি,বন্যাসহ অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগ আগেও ছিল এবং বর্তমানেও আছে, তাই বলে মরিচের মূল্য এতবেশি বাড়বে এটা আগের যেকোন সময়ের চেয়েও অনেক বেশি বেড়েছে বলেও তারা জানান। তারা বাজার দেখভালের বিষয়টিকে দায়ী করে বলেন, সারা দেশে বাজার মনিটরিং ব্যবস্হা যদি সোচ্চার থাকতো তাহলে সেন্ডিকেট ভিত্তিক এই লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে তারা এত বেশি তৎপর হয়ে উঠতো না।