রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মোটরসাইকেলসহ পলাশবাড়ী থানা পুলিশের হাতে ৯ জন আন্তঃজেলা চোর গ্রেফতার  ৬টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য ছিলো এই জাতিকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা- গাইবান্ধায় হুইপ গিনি এমপি ভুট্টার উৎপাদন হয়েছে ৬৭ লক্ষ টন যা মুলত দেশের উত্তর বঙ্গে উৎপাদিত হচ্ছে । গাইবান্ধায় নারী ও শিশু প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত।  কারিগরী প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র ও শেলাই মেশিন বিতরণ  দিনাজপুরে সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে সাংবাদিক হূমায়ুন কবীরের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। কৃষকদের অধিক সেবা দিতেই স্কুটি নিয়ে ছুটে চলছেন নারী উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শর্মিলা শারমিন দিনাজপুরে সাংবাদিক হুমায়ূন কবিরের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন দুই যুগ পেরিয়ে২৫ বছরে পদার্পন করেছে (হাবিপ্রবি)

ডাঃ মোজাফ্ফর আহমেদ আই কেয়ার সেন্টার,গাইবান্ধা । ০১৭৬৭-৩০৬৭০২

গাইবান্ধা স্টেডিয়াম সংলগ্ন বধ্যভূমিসহ জেলার চিহ্নিত সকল বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও নির্মান বিষয়ক মতবিনিময় সভা

সঞ্জয় সাহা:
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৬ জুন, ২০২৩

: ” গাইবান্ধায় বধ্যভূমিতে হবে আইটি সেন্টার” এরই প্রতিবাদে জেলা বধ্যভূমি সংরক্ষণ কমিটির আয়োজনে সোমবার শহরের পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে গাইবান্ধা স্টেডিয়াম সংলগ্ন বধ্যভূমিসহ জেলার চিহ্নিত সকল বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও নির্মান বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন বধ্যভূমি সংরক্ষণ কমিটি গাইবান্ধার আহবায়ক জি,এম চৌধুরী মিঠু।

 

তিনি বলেন- ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযোদ্ধা চলাকালে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী গনহত্যা করেছিল। আর বধ্যভূমিতে তাদের সমাধি দেয়া হয়। এতে করে গণকবর সংরক্ষিত হয়। ৩৫টির মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গাইবান্ধা জেলায় ৭টি বধ্যভূমি স্থানান্তরিত হয়। তার মধ্যে প্রধান হলো স্টেডিয়াম সংলগ্ন বধ্যভূমি। সে সময় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় বরাবর গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কে চিঠি দেয়া হয়। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয় মতিউর রহমান সহ বধ্যভূমি হিসেবে ঘোষনা দেয় এবং স্মৃতিস্তম্ভ তৈরির কথা বলেন। এই বধ্যভূমিটি সরকার কর্তৃক চিহ্নিত। বধ্যভূমির জায়গাটি কোন মুক্তিযোদ্ধা নিজের বলে দাবী করছে সে বিষয়ে আপত্তি পোষন করেন। পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসককে শুনানির কথা বলেন।

 

এ্যাড: শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন” প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন- এখানে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বলেই বধ্যভূমি হয়েছিল। একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হয়ে কার কথায়, কার নের্তৃত্বে, কি উদ্দেশ্যে এটা বধ্যভূমি নয় বলে দাবী করছেন। তিনি বধ্যভূমি সংরক্ষণ কমিটির বদলে বধ্যভূমি বাস্তবায়ন কমিটি করার প্রস্তাব রাখেন।

 

“নাগরিক কমিটির আহবায়ক আমিনুল ইসলাম গোলাপ” জেলা প্রশাসক এর উদ্দেশ্যে বলেন- এটি বধ্যভূমি কিনা, এ বিষয়ে সন্দেহ থাকলে গণশুনানির ব্যবস্থা করেন। অন্যথায় এমন একটি বিষয় নিয়ে গনআন্দোলন তুলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

 

” মিহির ঘোষ বলেন – বধ্যভূমিতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু পুত্র শেখ কামাল একজন মুক্তিযোদ্ধা। এখানে বধ্যভূমি না হলে শেখ কামালকে কলঙ্কিত করা হবে। এতে করে মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করা হবে।

গাইবান্ধা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মাযহার উল মান্নান, নাগরিক কমিটির আহবায়ক আমিনুল ইসলাম গোলাপ,বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন মজিবর রহমান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ড এর সাবেক কমান্ডার মাহমুদুল হক শাহজাদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকছুদার রহমান শাহান, জেলা আওয়ামীলীগ সহ- সভাপতি রনজিত বকসী সূর্য, এ্যাড: শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুরজ্জামান রিংকু, সদস্য মোস্তাক আহমেদ রঞ্জু, কবি দেবাশীষ দাস দেবু, জাসদ সভাপতি গোলাম মারুফ মনা, বাসদ মার্কসবাদী সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, বাসদ সদস্য সচিব মঞ্জুর আলম মিঠু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সাধারণ সম্পাদক রউফ মিয়া, এ্যাড: মোস্তফা মনিরুজ্জামান, নারী মুক্তি কেন্দ্র সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী সহ অনেকে।

 

জেলা প্রশাসক এর উদ্দেশ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মকছুদার রহমান শাহান বলেন- একটি গনশুনানির ব্যবস্থা করলে সবাই বলবে এটা বধ্যভূমির জায়গা। তিনি জেলা প্রশাসক এর চিঠির বিরুদ্ধে জোড়ালো প্রতিবাদ করেন।

 

উল্লেখ্য, গাইবান্ধা গোরস্থানপাড়াস্থ জেলার শাহ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়াম সংলগ্ন গোবিন্দপুর মৌজার ২২৪৬ দাগের জে এল নং ৯৯ এর ১০০২ খতিয়ান এ ৫৯০০ একর জমি রয়েছে যা বধ্যভূমি নামে পরিচিত। উক্ত দাগে ২৬০০ একর সহ ৬ টি দাগ হতে মোট ১৫০০০ একর জমিতে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেটর সেন্টার নিমিত্ত চিহ্নিত করে অধিগ্রহণ এর কার্যক্রম গ্রহন করে জেলা প্রশাসন। অন্যদিকে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন কার্যালয় এর আর এম শাখা’র এক চিঠি সূত্রে জানা যায়- শাহ বছির উদ্দিন এর পুত্র শাহ মো: সামিউল ইসলাম, এস,এ রেকর্ড এর ধারাবাহিকতায় কনক কান্তি সরকার কর্তৃক ক্রয়সূত্রে ২২৪৬ নং দাগের জমিতে সীমানা প্রাচীর ও অবকাঠামো নির্মাণ করে ভুমি উন্নয়ন পরিশোধপূর্বক আনুমানিক ৫০ বছর যাবত ভোগদখলে আছেন এরই প্রেক্ষিতে বধ্যভূমিতে আইটি সেন্টার না করে অন্যত্র করতে বক্তারা জেলা প্রশাসন এর সু দৃষ্টি কামনা করে সঠিক তথ্য দিয়ে প্রস্তাব প্রত্যাহার দাবি জানান। অন্যথায় মানববন্ধন ও কঠোর কর্মসূচী গ্রহণ এর দাবি জানান।

 

বিডি গাইবান্ধা/

Print Friendly, PDF & Email

যমুনা প্লাজা,গাইবান্ধা -01740569856

জিনিয়াস কিন্ডার গার্টেন এন্ড স্কুল ও জিনিয়াস এডুকেয়ার

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৩৫ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ
  • ১৬:১৫ অপরাহ্ণ
  • ১৮:০০ অপরাহ্ণ
  • ১৯:১৪ অপরাহ্ণ
  • ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ
bdgaibandha.news©2020 All rights reserved
themesba-lates1749691102