: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার কুমিদপুর গ্রামের এজমাল আলীর পুত্র আব্দুস সোবহান কর্তৃক গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ডুমুরগাছা গ্রামের মৃত: হোসেন আলীর পুত্র ওয়াদুদ আকন্দের জমি জাল দলিল করে আত্মসাতের চেষ্টা সহ তাকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সুবিচার পেতে ভুক্তভোগী ওয়াদুদ আকন্দ বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চৌকি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
গোবিন্দগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চৌকি আদালত এর মামলার কাগজ সূত্রে জানা যায়- উক্ত বাদী ওয়াদুদ আকন্দের পিতা হোসেন আলী ১৯৯৫ সালে মৃত্যুবরণ করলে প্রথম বিবাদী আব্দুস সোবহান গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ডুমুরগাছা গ্রামের শুকুর আলীর পুত্র মামলার ৫ নং বিবাদী শওকত আলী ৭০ ও শওকত আলীর পুত্র আব্দুর রশীদ এবং আব্দুল আজিজ এর যোগসাজসে বাদীর পিতার নামে গত ১৯৭৯ সালের ২৯ এপ্রিল ইং তারিখে ৫২৬২ নং দলিল মূলে ক্রয় দেখিয়ে এক একর জমি মৃত শুকুর আলীর পুত্র মৃত হোসেন আলী আকন্দ উক্ত তপশীল বর্ণিত নালিশী জমির অংশ প্রাপ্ত হয়েছেন বলে বাদীকে জানান এবং পরবর্তীতে বিবাদী গং ১৯৭৯ সালের ১৩ই জুন ৯৭০৭/৭৯ নং হেবাবিল এওয়াজ মূলে বাদী ও ৫ নং বিবাদী শওকত আলী বরাবর হস্তান্তর করেছেন মর্মে দলিল রেজিষ্ট্রেশন করেছেন। যা মূলত জ্বাল দলিল। প্রকৃত পক্ষে শুকুর আলীর আকন্দ ‘র পুত্র হোসেন আলী আকন্দ ১৯৭৫ সালের ১২ই জানুয়ারি বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন। বাদীর পিতা মারা যাবার পর বিবাদীগন গত ১৯৭৯ সালের ২৯ এপ্রিল ও ২০২২ সালের ১লা ডিসেম্বর তার ২০১৮ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর এর সত্ত দখলীয় নামজারি কেস নং- ১৫৪৭/১-৩৬,( ১১-১)১৮-১৯ খারিজকৃত ২.৪৭ শতক নামজারি কেস নং- ১৫৪৭/১-১)১৯২০ নিম্ন তপশীল ভুক্ত জমি আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে জাল দলিল তৈরি করেছেন। এতে করে বাদীর তপশীল ভুক্ত জমি ভোগ দখলের জন্য বেদখলের করতে বাদী ওয়াদুদ আকন্দকে খুন জখমের হুমকি প্রদান করছেন বিবাদী আব্দুস সোবহান গং। সে সাথে মামলার ১ থেকে ৮ নং বিবাদীর কাছে মুল দলিল আছে বলে হুমকি প্রদর্শন করে চলতি ২০২৩ সালের ১লা মার্চ বুধবার সকাল ১১ টায় আব্দুস সোবহান সহ অন্যান্য বিবাদী বাদীর বসতবাড়ীতে প্রবেশ করে দলিলের ফটোকপি দেখালে বাদী জাল দলিল সম্পর্কে জানেন। এ বিষয়ে বিবাদীদেরকে গ্রেফতার করতে কোর্টের বিচারকের নিকট প্রার্থনা কামনা করে ১৪৩/৪৪৮/৪৬৭/৬৬৮/৪৭১/৫০৬) ১০৯ দণ্ডবিধি ধারায় ২০২৩ সালের সি আর নং২০৩ মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওয়াদুদ আকন্দ।
বিডি গাইবান্ধা/