জাতীয় বাজেটে উন্নয়ন বরাদ্দের ৪০ভাগ কৃষি খাতে বরাদ্দ সহ ১২ফা দাবিতে গাইবান্ধায় বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠনের বিক্ষোভ সমাবেশ এবং স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচী পালিত হয়েছে। সমাবেশ শেষে শহরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠন গাইবান্ধার উদ্যোগে ৫ জুন ২০২৩ইং তারিখ বেলা ১২টায় গাইবান্ধা জেলা শহরের বিক্ষোভ মিছিল শেষে সদর উপজেলার সভাপতি প্রভাষক কমরেড গোলাম সাদেক লেবুর সভাপতিত্বে শহরের ১নং রেলগেটে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ( মার্কসবাদী) জেলা আহবায়ক ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হাবিব সাঈদ, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠন সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর রহমান খোকা, নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, ডাক্তার আব্দুল জব্বার, অতুল চন্দ্র প্রমূখ।
বক্তারা- বাংলাদেশের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ কৃষির সাথে যুক্ত। ৫২ বছরের শাসনে এদেশের কৃষি- কৃষক কে ধ্বংস করে দিয়ে কৃষকরা দিনমজুর, ভুমিহীন এ পরিনত হচ্ছে। কৃষি সংক্রান্ত সরকারের ভুলনীতির ফলে।কৃষি – কৃষক বাঁচাতে হলে বাজেটে উন্নয়ন অংশের ৪০ ভাগ কৃষি খাতে বরাদ্দ করতে হবে এবং মানুষের খাদ্য চাহিদা পুরনের জন্য কৃষি উপকরণ ও ফসলের বাজারজাতকরণের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানান। সেই সাথে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম কমানো, ১০টাকায় ওএমএস এর চাল, শহরে কমদামে পর্যাপ্ত টিসিবি কার্যক্রম সারা বছর চালু রাখা, দলীয়করণ-হয়রানি বন্ধ করা, আর্মির রেটে রেশন। ধান ,ভুট্টা, আলুসহ সকল কৃষি ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত, সরকারি উদ্যোগে ক্রয় কেন্দ্র খোলা ইউনিয়নে খাদ্য গুদাম,জেলায় হিমাগার নির্মাণ।কৃষি ঋণ মওকুফ করা, সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার, বিনাসুদে সহজ শর্তে ঋণ দান, এনজিও মহাজনি ঋণের তীব্র, অমানবিক শোষণ জুলুম আইন করে নিষিদ্ধ করা, কিস্তির হয়রানি বন্ধ। সকল বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও প্রতিবন্ধীদের মাসিক ভাতা ৫হাজার টাকা দেয়া, এলাকায় এলাকায় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্র নুরু – মুক্তির গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, টাকা উদ্ধারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।ইউনিয়ন হেলথ সেন্টারে এমবিবিএস ডাক্তার, নার্স, নিয়োগ সহ পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ। ভূমি অফিস, রেজিষ্ট্রি অফিস, ইউনিয়ন/পৌরসভা, তথ্য অফিস,থানা সহ সকল সরকারি অফিসে ঘুষ-দুর্নীতি, হয়রানি বন্ধ,জন্মনিবন্ধন,মৃত্যু সনদ,জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে হয়রানি দুর্নীতি বন্ধ। ক্ষেত মজুরদের সারা বছর কাজের নিশ্চয়তা, ১২০দিনের কর্মসৃজন টিআর,কাবিখা-কাবিটা চালু। হাটে হাটে ইজারাদারি জুলুম বন্ধ, সরকারি টোল চার্ট লাগানো, অনিয়ম দুর্নীতি হয়রানি বন্ধ করা। মাদক, জুয়া, পর্নোগ্রাফি বন্ধ করে সামাজিক অবক্ষয় রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ,ওয়াজ মাহফিল, সভা-সমাবেশে নারী বিদ্বেষী-অবমাননাকর বক্তব্য আইন করে নিষিদ্ধ, নারী-শিশু নির্যাতন, বাল্য বিবাহ বন্ধ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা এ আইনে গিদারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রভাষক কমরেড গোলাম সাদেক লেবুসহ সকল নেতা কর্মীদের নামে দায়ের কৃত হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার। পল্লী বিদ্যুতের অসহনীয় লোড শেডিং বন্ধ, ভূতুরে বিল,দুর্নীতি, হয়রানি বন্ধ করে বিনা পয়সায় সংযোগ দেয়া, মিটার ভাড়া বাতিল। খাস জমি উদ্ধার করে প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে বন্টন করা। বেকার সমস্যার সমাধানে জেলায় জেলায় কৃষি ভিত্তিক সরকারি শিল্প কারখানা নির্মাণ, বন্ধকৃত পাটকল, চিনি কল অবিলম্বে চালু। নদী ভাঙ্গন ও বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধান, ইকোনমিক জোন,পাওয়ার প্লান,ইট ভাটার নামে কৃষি জমি ধ্বংস বন্ধ।হাটে হাটে ইজারাদারি জুলুম বন্ধ, সরকারি টোল চার্ট লাগানোর দাবি জানান।
বিডি গাইবান্ধা/