গাইবান্ধায় মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সাগর চন্দ্র (৩৫) কর্তৃক ধর্ষনের ঘটনায় নোয়াখালির চাটখিল এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে গাইবান্ধা র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব ১৩ এর সদস্য। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টায় র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান গাইবান্ধা র্যাব ১৩ কোম্পানি কমান্ডার এ,কে এম আসিফ উদ দৌলা।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব কমান্ডার জানান-গত ১৮ই এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখ সকাল ১০ টায় ধর্ষনের শিকার মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরী বাড়ীর পিছনে গাছের নার্সারিতে খেলা করার জন্য গেলে আসামী সাগর চন্দ্র (৩৫) ভিকটিমকে মেহেদী কিনে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গাইবান্ধার কাশদহ সাকিনস্থ গাছের নার্সারী বাগানে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। ধর্ষন করার সময় মানসিক প্রতিবন্ধীর চিৎকারে আত্বীয় স্বজনরা শুনতে পেয়ে ধর্ষক সাগর চন্দ্র কে ধরতে গেলে সেখানে আসার আগেই পালিয়ে যায়। এতে গত ২৭ এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখে ভিকটিমের মা গাইবান্ধা জেলা সদর থানায় বাদী হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-৩২ তারিখ-২৭/০৪/২০২৩।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ মে ২০২৩ ইং তারিখ র্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্প ও র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দলের যৌথ নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে বর্ণিত ধর্ষন মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামী সাগর চন্দ্রকে নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানা এলাকায় অবস্থান করছে। অতপর ফোর্সসহ রাত ৮ টা ৩০ মিনিটে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কাশদহ গ্রামের মৃত ঝরু রাম চন্দ্র পুত্র ধর্ষণকারী সাগর চন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামী স্বীকার করে দীর্ঘদিন যাবৎ আত্বগোপন করে বারবার তার অবস্থান পরিবর্তন করত। ধৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- র্যাব ১৩ গাইবান্ধার সিনিয়র ডিএডি জাকির হোসেন, র্যাব এর গোয়েন্দা বিভাগের ডিএডি মাজেদুর রহমান সহ অনেকে।
উল্লেখ্য, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার, ডাকাতসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যপক অভিযান চালিয়ে আসছে।
বিডি গাইবান্ধা/