গাইবান্ধা জেলা ও উপজেলা যুবদলের আহবায়কের নগ্ন হস্তক্ষেপে অবশেষে স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের বৃহৎ অংশের বাধা উপেক্ষা করে সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের বিতর্কিত সেই মনিরুল ইসলাম রতন কে আহবায়ক করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নলডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদল কর্তৃক আয়োজিত স্থানীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন যুবদলের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন নলডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রভাষক হামিদুল ইসলাম। এতে বক্তব্য রাখেন নলডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি,র আহবায়ক রেজাউন্নবী লেবু,সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন,যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রউফ নান্নু,ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক শফিউল ইসলাম শাপলা,যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন,ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক তাজরুল ইসলাম,ইউনিয়ন মৎস্যজীবি দলের আহবায়ক সুজন মিয়া ও সাদুল্লাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রুবেল মিয়া।
প্রতিবাদ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন,প্রভাষক হামিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন,মনিরুল ইসলাম রতন কখনই বিএনপি,র রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন না। তাকে কখনো কোন আন্দোলন সংগ্রামে দেখা যায়নি। হঠাৎ তিনি রহস্যজনকভাবে যুবদলে যোগদান করেন।স্থানীয় বিএনপি ও সকল সহযোগি সংগঠনের নেতা কর্মীদের জোরালো আপত্তি থাকা সত্বেও জেলা উপজেলা নেতৃ্ৃবৃন্দ তা উপেক্ষা করে সম্প্রতি মনিরুল ইসলাম রতন কে আহবায়ক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয়। বিতর্কিত এই কমিটি বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ত্যাগি নেতাকর্মীরা কোন ভাবেই মেনে নিবে না।
তিনি আরো জানান, মনিরুল ইসলাম রতন ছিলেন মুলত ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ও আওয়ামীলীগের একজন গুপ্তচর।
তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক ফায়দা লুটে নিতে হঠাৎ যুবদলে যোগদান করে জেলা উপজেলা নেতাদের সাথে নানা ভাবে গভীর সখ্যতা গড়ে তুলে আহবায়ক পদটি বাগিয়ে নিয়েছেন। তার ৫ ভাইয়ের মধ্যে ৪ ভাই আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে ওতোপ্রতভাবে জড়িত। ইতিপূর্বে মনিরুল ইসলাম রতনের বিরুদ্ধে এসংক্রান্ত নানাবিধ লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ জেলা উপজেলাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে দেয়া হয়েছিল।কিন্তু তারপরেও এবিষয়ে শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা অজ্ঞাত কারণে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা না নিয়ে বরং উড়ে এসে জুড়ে বসা তাদের আর্শীবাদপুষ্ট ধুরন্ধর মনিরুল ইসলাম রতন কে আহবায়ক করেন। জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ কোন কিছু আমলে না নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্বেচ্ছাচারিতামূলক ভাবে এ কমিটি থেকে ত্যাগি, নির্যাতিত ও প্রবীন নেতাদের বাদ দিয়েছেন বলে আমরা মনে করছি।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সংবাদ সম্মলনে আরো বলা হয়, ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার ছোট ভাই তরিকুুল ইসলাম নয়ন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। সেই নির্বাচনে মনিরুল রতন প্রকাশ্যে নৌকার পক্ষে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে বিএনপি প্রার্থীর ঘোর বিরোধীতা করেন। এমনকি ওই নির্বাচনে তিনি তার ভাইকে নির্বাচিত করতে বিএনপি,র মনোনীত প্রার্থীর প্রচার প্রচারণায় বিভিন্নভাবে বাধার সৃষ্টি করেছিলেন। এমতবস্থায় অনতিবলম্বে এ কমিটি বিলুপ্তি ঘোষনা করা না হলে স্থানীয় বিএনপি,র সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী গণহারে পদত্যাগ করে নলডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপিকে নেতৃত্ব শুন্য করা হবে বলে হুসিয়ারী দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে উণ্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে জেলা উপজেলা আহবায়কসহ অভিযুক্ত মনিরুল ইসলামের রতনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।