গাইবান্ধায় ভাতা পাইয়ে দেয়ার নামে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্নসাতকারী মুক্তি বেগমকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন কোর্ট।
বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র গাইবান্ধা জেলা শাখার আন্দোলনের চাপেই মুলত মুক্তি বেগমকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে- সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির নামে গাইবান্ধা সদরের বিভিন্ন এলাকা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদের পিয়ন নুরু মিয়া ও তার সহযোগী মুক্তি বেগম। এতে করে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র, গাইবান্ধা শাখা। সেই আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট চক্রের হোতা গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদের পিয়ন নুরু মিয়া ও তার সহযোগী মুক্তি বেগমের বিরুদ্ধে গত বছর বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত সদর,গাইবান্ধায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- সি আর ৩৭১/২২।মামলায় আদালত তদন্তভার পিবিআই গাইবান্ধা কে দিলে তারা দীর্ঘ সময় মামলার যথাযথ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতাসহ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলায় আদালত সমন জারী করেন। সমন পেয়ে আসামিগন হাজির না হলে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন। এই মামলায় মুক্তি বেগম জামিন নিতে গেলে বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত সদর , গাইবান্ধা মোঃ আব্দুল মতিন জামিন না মঞ্জুর করে আসামি মুক্তি বেগম জেল হাজতে প্রেরন করেন। খবর পেয়ে ভুক্তভোগী ও আন্দোলনকারীরা আদালতে উপস্থিত হন।ভুক্তভোগী -বাদী শিল্পী আক্তার, ভুক্তভোগী ও আন্দোলনকারী ফিরোজা, ছুরুতন,রহিমা বেগমসহ বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী সহ অন্যান্যরা উল্লাস প্রকাশ করেন। তারা- টাকা উদ্ধারে আদালত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করবেন বলে প্রত্যাশা করেন। সেই সাথে নেতৃবৃন্দ বলেন যতক্ষণ না টাকা উদ্ধার ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত না হয় ততক্ষন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক “নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী” বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিডি গাইবান্ধা/