আজ মহান মে দিবস। শ্রমিক শ্রেণির লড়াই-সংগ্রামের ঐতিহাসিক দিন। ১৮৮৬ সালের এই দিনে আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকদের ৮ ঘণ্টা কর্মদিবসের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন ও রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে জীবনদানের ইতিহাস আজও অমলিন। সেই শহিদদের স্মরণে ও মালিকীব্যবস্থা থেকে শ্রমিকমুক্তির লক্ষ্যে সারাদেশের ন্যায় গাইবান্ধায় শ্রমিক নেতারা শ্রমিকদের দাবি আদায়ে মাঠে নেমে মিছিল-সমাবেশ করছে। অথচ মে দিবসে রাস্তার চিত্র ছিল ভিন্ন। মে দিবসে যেখানে শ্রমিকদের দাবি আদায়ে রাস্তাঘাট থাকার কথা পরিবহন শুন্য। সেখানে গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোড, ত্রিমোহনী রোড, ব্রীজরোড – সুন্দরগঞ্জ রোড সহ বিভিন্ন রুটে প্রতিদিনের ন্যায় চলাচল করতে দেখা গেছে রিক্সা, অটোরিক্সা, ভ্যান ও সিএনজি। যারা প্রতিদিনের পরিশ্রমের টাকা দিয়ে দিন এনে দিন খায় তাদের কাছে মে দিবস কোনো দিবস নয়। কারন দিবস পালন করলে না খেয়ে থাকতে হবে তার পরিবার পরিজন নিয়ে।
” গাইবান্ধার ডিবি রোডস্থ আসাদুজ্জামান মার্কেটের সামনে কথা হয় দাড়িয়াপুর মীরের বাগান এর বাসিন্দা ব্যাটারিচালিত রিকসা চালক ‘নাইমুল ইসলাম’ এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন- আজ মে দিবসেও হামাক কর্ম করবার হচ্ছে। কর্ম না করলে হবো? কর্ম করবারি লাগব। কর্ম না করলে বাড়িত ভাত জুটবার নয়। প্রতিদিন রিক্সা চালিয়ে ৪থেকে ৫শ টাকা ইনকাম করোম। এই দিয়ে হামার বাপ,মা, হামরা স্বামী, স্ত্রী ও দুই মেয়ের ভাত জুটাই। সে সাথে বাচ্চাদের লেখাপড়া। হামরা চাকুরীজীবি নয়। সকাল ৮টায় বের হইছোম। এখন দু চার টাকা যা ইনকাম করমু। তা দিয়ে বাসাত খরচাপাতি নিয়া যামু।”
“গাইবান্ধা ট্রাফিক অফিসার ইনচার্জ নূর আলম সিদ্দিক” এর সাথে কথা হলে তিনি বিডি গাইবান্ধা ডট নিউজ এর প্রতিবেদক কে বলেন- শ্রমিকের ঘামের ন্যায্য পাওনা আদায়ে বিশ্বব্যাপী শ্রমিক আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে মে দিবস পালিত হয়। সেই প্রেক্ষাপট কে সামনে নিয়ে আজ গাইবান্ধায় পালিত হলো মহান মে দিবস। কিন্তু লক্ষ্য করলাম ৮০ পার্সেন্ট দোকান খোলা, ৮৫ পার্সেন্ট যানবাহন চলাচল করছে। নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য সকল শ্রমিককে এক হওয়া দরকার। নতুবা মহান মে দিবসের সকল প্রচেষ্টা সফল হবে না।
বিডি গাইবান্ধা/