গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত হামিদ গ্রামের দুলা মিয়া ও একই এলাকার রাজাগংদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ৩,৪,৫ আসামিরা জামিনে এসে আরো বেপরোয়া আচরন করছে বলে জানান বাদীপক্ষ।
অভিযোগে প্রকাশ, ২৫ এপ্রিল ২০২৩ ইং সকালে রাজাগংরা সংঘবদ্ধভাবে দুলাগংদের জমি বেদখল দিতে গেলে দুলাগংদের পরিবার তাতে বাঁধা দেয়। পরে রাজাগংদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দুলার ছেলে আঃ রশিদ ও মেয়ে দুলালী বেগম অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে, একজনের অবস্থা অবনতি হলে তাকে রংপুর হাসপাতালে রেফার্ড করে,এতে দুলার সন্তানদের আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে রক্তাক্ত ক্ষতস্থানে সেলাইয়ের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও গাছ কর্তণসহ সবজি ক্ষেত বিনষ্ট করে দূর্বৃত্তরা।
দুলা মিয়া জানান, আমি ১৯৯৭ সালে ক্রয়সূত্রে এই জমি ভোগদখল করে আসছি। পরে ২০২৩ সালে এসে তারা দাবি করছে ও জমি তাদের। দলিলে শুধু মৌজার একটি ভূল হয়েছিল। আমি দলিল সংশোধনের মামলা( নং-৯৮/২৩) করেছি। আমার পরিবারের ওপর অন্যায়ভাবে তারা এভাবে অতর্কিত হামলা চালালো! আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আছি জন্য আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এর সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
ঘটনায় দুলা মিয়ার স্ত্রী রশিদা বেগম সাদুল্লাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনার সাক্ষী উমর ফারুক জানান, এভাবে জমি বেদখল দেওয়া আইন পরিপন্থী। রাজাগংরা সংঘবদ্ধভাবে জমি বেদখল দেওয়ার চেষ্টা চালায়। আমি প্রতিবাদ দিতে গেলে ওরা আমার যাতায়াতের রাস্তা পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়। আমি সঠিক বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
সচেতন মহল বলছেন, পুলিশ প্রশাসন তৎপর হলে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে ঘটনার আসল রহস্য।
এব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা এস আই তাহসিনুর রহমান বলেন, একটি মামলা হয়েছে, তদন্ত করা হয়েছে, বিষয়টি তদন্ত অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।