গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের কামদিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে প্রতি শতক জমি খারিজের জন্য ঘুস দিতে হয় ১ হাজার টাকা,ঘুসের টাকা দিলে খারিজ হয় না দিলে হয় না। গত সোমবার দুপুরে ঘুস নিয়ে খারিজ করার প্রতিবাদে ইউনিয়ন ভুমি অফিসের সামনে শত শত লোক এসে বিক্ষোভ করে ইউনিয়ন ভুমি অফিস ঘেরাও করে। ঘুস খোর তহসিলদার ও পিয়ন এর বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয় ঘুর খোর তহসিলদা ও পিয়নে বিচার চাই শাস্তি চাই। খারিজের জন্য সরকারী ফি ১১৭০ টাকা কিন্তু তারা প্রতি শতক জমি খারিজের আবেদন করা ও কাগজপত্র ঠিক করা বাবদ টাকা নিচ্ছে ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা। সাধারন মানুষকে জিম্মি করে টাকা দিতে বাধ্য করছে তহসিলদার ও পিয়ন, নিরুপায় হয়ে টাকা দিচ্ছে সাধারন জনগন। ওড়ান বেসাইন গ্রামের ভুক্তভোগী আব্দুল মালেক হাজীর ছেলে রুহুল আমিন বলেন আমার বড় ভাই চার একর জমি খারিজের জন্য ইউনিয়ন ভুমি অফিসে আসে তার কাছ থেকে অফিস পেয়ন শহিদুল প্রতি একর জমি খারিজ করা বাবদ ঘুস দাবী করে পঁচিশ হাজার টাকা এবং তার কাছ থেকে পঁচিশ হাজার টাকা ঘুস নেয় আরো এক লক্ষ টাকা দাবী করে, টাকা না দিলে খারিজ হবে না জানায়। একই গ্রামের আমছার আলীর ছেলে ফারুক বলেন ১৪ শতক জমি খারিজের জন্য প্রথমে ৬ হাজার টাকা নিয়ে আবেদন ভুল হয়েছে বলে পরে আবার আবেদনের জন্য ৮ হাজার টাকা নেয় পিয়ন শহিদুল। তার ১৪ শতক জমির খারিজ করতে ঘুস দিতে হয় ১৪ হাজার টাকা। বেসাইন গ্রামের খয়বর আলীর ছেলে আজাদুলের ২০ শতক জমি খারিজ করতে বিশ হাজার টাকা নেয় অফিস পিয়ন শহিদুল।
এভাবেই ঘুস নিয়ে খারিজ করার ফুসে উঠেছে ভুক্তভোগীরা তারা এই ঘুসখোর তহসিলদার আছাদুজ্জামান ও তার পিয়ন শহিদুলের শাস্তি দাবি করেন।এ বিষয়ে তহসিলদার বলেন,আমি খারিজ করি না টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানিনা,তবে কারো অভিযোগ থাকলে আমার উর্ধতনের কাছে করতে পারে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি জানিনা তবে জেনে বক্তব্য দেব।