গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন জনগনের দোরগোড়ায় ভুমি সেবা পৌঁছে দেয়া। যাতে মানুষ সহজে ভুমি সেবা গ্রহন করতে পায়। কিন্তু গাইবান্ধা শহরস্থ সদর এর থানসিংহপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিস, বোয়ালী ইউনিয়ন ভুমি অফিস সহ জেলার ৭ উপজেলার ৬৩ টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী কর্মকর্তার পদ শূন্য রয়েছে। চাহিদার চেয়ে জনবল কম থাকায় একদিকে যেমন ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে ভুমি সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দূর দুরান্ত থেকে আসা ভুমি সেবা গ্রহীতাদে মানুষদের। তেমনি অন্যদিকে ব্যাহত হচ্ছে ভূমিসেবা কার্যক্রম ও প্রধানমন্ত্রীর ভিশন কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের রাজস্ব শাখা ও ইউনিয়ন ভুমি অফিসগুলোতে খোজ নিয়ে জানা গেছে- গাইবান্ধা সদর সহ জেলার ৭উপজেলার ৬৩ টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সহকারী ও উপ-সহকারী কর্মকর্তার বেশিরভাগ পদ শূন্য রয়েছে। ঐসব ভূমি অফিসে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী ও ইউনিয়ন ভুমি উপ-সহকারীর মঞ্জুরিকৃত পদের সংখ্যা যথাক্রমে ৬৩ এবং ১২৬ টি । বর্তমানে সহকারী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন ভুমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা রয়েছেন যথাক্রমে ১৪ ও ৪৫ জন । অর্থাৎ মোট ১২২ টি পদ শূন্য রয়েছে ।
গাইবান্ধা শহরস্থ সদর এর থানসিংহপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিস ও বোয়ালী ইউনিয়ন ভুমি অফিস সুত্রে জানা গেছে- সদর এর থানসিংহপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসে ইউনিয়ন ভুমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা পদটি ২০১৩ সাল থেকে শূন্য রয়েছে।
গাইবান্ধা সদর এর বোয়ালী ইউনিয়ন ভুমি অফিস-এ ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তার পদটি শূন্য রয়েছে। এখানে ইউনিয়ন ভুমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা ভূমি সহকারীর পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
কর্মরত কর্মকর্তার চাইতে শূন্য পদের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি । ফলে ৬৩ টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে মূল কর্মকর্তা ভূমি সহকারীর স্থলে উপ-সহকারী কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী কর্মকর্তার স্থলে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা দীর্ঘদিন যাবৎ তারা একাই নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি অতিরিক্ত মূল দায়িত্ব পালন করে চলেছেন ।
অন্যদিকে গাইবান্ধা সেটেলমেন্ট অফিসের চিত্রও অনুরূপ। “সেটেলমেন্ট অফিসের পেসকার রেজাউল করিম ” বলেন আমার জানামতে গাইবান্ধা জেলার ৭টি উপজেলার মধ্যে গাইবান্ধা সদর, পলাশবাড়ী, সাদুল্যাপুর, সাঘাটা, গোবিন্দগঞ্জ ৫ টির দায়িত্বে আছেন রংপুর গংগাচড়ার সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার এএসও) ফজলুর রহমান। যিনি একইসাথে রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলায় দায়িত্বভার পালন করছেন। এখনও তাঁর অধীন কয়েকটি মৌজার জরিপ কাজ বাকি আছে ।
এতে করে জেলার ভূমি সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা কম থাকায় জনগণের যেমন ভোগান্তি হচ্ছে, তেমনি সরকারের ভূমিসেবা কার্যক্রমও দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
“নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভোগী সেবা গ্রহীতা” জানান- এসব অফিসে নিদিষ্ট কর্মকর্তা না থাকায় ইনাদের পরিবর্তে অন্য কর্মকর্তা দায়িত্বপালন করায় আমরা সঠিক সময়ে সঠিক সেবা পাচ্ছিনা। এতে করে আমাদেরকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো: অলিউর রহমান বলেন- গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন জনগনের দোরগোড়ায় ভুমি সেবা পৌঁছে দেয়া। যাতে মানুষ সহজে ভুমি সেবা গ্রহন করতে পায়। কর্মরত জনবল অর্থাৎ সার্ভিস প্রোভাইডার এর অভাবে অনেক সময় আমাদের সঠিকসময়ে যে ভুমি সেবা দেয়া প্রয়োজন। তা অনেক সময় কষ্টসাধ্য হয়। প্রয়োজনীয় জনবল চেয়ে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশাকরছি যথাযথভাবে এই শুন্য স্থানে লোক পদায়ন করা হয় তাহলে ভুমিসেবা মানুষের দৌড়গোড়ায় সেবা নিয়ে যাওয়া সরকারের যে ভিশন তা বাস্তবায়িত হবে।
তিনি আরও বলেন- মানুষের ভোগান্তি কমাতে ঐকন হচ্ছে দ্রুততম সময়ে সেবা পৌছে দেয়া। আর সেবা দেয়ার জন্য বেশি প্রয়োজন সার্ভিস প্রোভাইডার। এরা থাকলে তবেই জনগণের ভোগান্তি লাঘব হবে।
বিডি গাইবান্ধা/