গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার রামপুর মৌজায় ৪র্থ পর্যায়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রায় ৩২ টি ঘর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে নিম্ন মানের ইট ও বালু ব্যবহার করার দাবী জানিয়ে স্থানীয় জনগণ নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান করায় নির্মাণ শ্রমিকদের সাথে মারামারি লেগে যায়। এতে একাধিক নির্মাণ শ্রমিকদের ও স্থানীয় একাধিক যুবকের গায়ে কাপড় ছিড়ে যায়। এ ঘটনাটি আজ রবিবার বেলা প্রায় ১১ ঘটিকার সময় ঘটেছে বলে জানা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখায় যায়, উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের রামপুর মৌজায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণে নিম্ন মানের ইট ও বালু দিয়ে কাজ করায় স্থানীয় জনসাধারণের সাথে নির্মাণ শ্রমিকদের মারামারি ঘটনা ঘটেছে । এরপর উক্ত স্থানে পলাশবাড়ী উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি এস এম ফয়েজ উদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিদর্শন ও শ্রমিকদের মারধরকারী স্থানীয়দের নাম ও ঠিকানা সংগ্রহ করেন। এসময় একটি ইট বোঝাই ট্রাক্টরের নিম্ন মানের ইট নিয়ে আসে সেগুলো ফেতর পাঠিয়ে দেন তিনি। এরপর উক্ত স্থানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন পরির্দশন করেন এবং নির্মাণ শ্রমিকদের উপর হামালা ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা জানান।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, আশ্রয়ন প্রকল্পের নিম্ন মানের ইট ও বালু ব্যবহার করায় দেওয়ালের গাথুনি ধসে পরে আমরা উক্ত বিষয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের বাধা দিলে তারা আমাদের উপর হামালা করে এতে উভয় পক্ষে মধ্যে ধস্তাধস্তি ও মারামারি ঘটনা ঘটে তবে এতে কেউ কোন হতাহত হয়নি।
এদিকে প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকগণ দাবী করেন, নিম্ন মানের ইট ও বালু আসলে আমরা উদ্ধোর্তন কমকর্তাদের অবগত করি এবং ইট বালু ফিরিয়ে দেই। কিন্তু এরআগে রাতে ইট এর গাড়ী আসায় কিছু ইট এরকম নিম্ন মানের আসে যা আমরা পরিবর্তন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের অবগত করি। এরপরের প্রথমে ইউপি সদস্য ও পরে স্থানীয় কয়েকজন যুবক আমাদের কাজ বন্ধ করতে চাপ দেয় এতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাদের নির্মাণ শ্রমিকদের মারধর করে এবং ইটের গাথুনি ভেঙ্গে ফেলে।
উল্লেখ্য, পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে নিম্ন মানের ইট বালু ব্যবহারের বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয় জনসাধারণসহ সচেতন মহল।