সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ জন প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম দূর্নীতি প্রশ্রয় না দেওয়ায় বাঘিনী কন্যাখাত গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমা বেগম এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অনিয়ম দূর্নীতি অভিযোগ করায় উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সর্বস্তরের সচেতন মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আজ ১ এপ্রিল শনিবার সকালে উক্ত মিথ্যা অভিযোগের তদন্তকালে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
জানা যায়,গত ২৯ মার্চ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের স্মারক নং ০৩৮.০১.০০০০৬০১.০৫.০০১২৩-২৩ মূলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের স্মারক নং ৩৮,০১,০০০০,৩০০, ২৭,৪৬৫.২২ অভি: তদন্ত /২১৫ তারিখ: ২০ ডিসেম্বর ২০২২ ইং অনুযায়ী পলাশবাড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমা খাতুন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতিবাজ, বদমেজাজী,গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৮১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দকৃত ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা হতে বিদ্যালয় প্রতি ৫-১০ হাজার টাকা পর্যন্ত সুকৌশলে আদায় করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগ/অনিয়মসমূহের সরেজমিনে তদন্ত/অনুসন্ধান এর জন্য পত্রের নিম্নস্বাক্ষরকারী প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সহকারি পরিচালক আবুল কাসেম মিয়া কে তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সে মতে আজ ১ এপ্রিল সকাল ৯.০০ ঘটিকা হতে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় ।
এতদসংক্রান্ত বিষয়ে মতামত প্রদানে ইচ্ছুক ব্যক্তিবর্গকে তদন্ত অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র ও সাক্ষ্য প্রমাণাদিসহ নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে ও স্থানে স্ব-শরীরে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলে উক্ত অর্থ বছরের বরাদ্দ প্রাপ্ত ৮১ টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ লিখিতভাবে নিজ নিজ বক্তব্য প্রদান করেন। এ লিখিত বক্তব্যে উক্ত মিথ্যা অভিযোগের কেউ কোন প্রমাণ তুলে ধরে না পারলেও বরং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমা বেগম বিগত সময়ের মধ্যে প্রথম একজন সৎ ও ন্যায়পরায়ন কর্মকর্তা হিসাবে তিনি তার সময়কালে ব্যাপক ভাবে উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেছেন মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এছাড়াও প্রধান শিক্ষাকগণ বলেন, বর্তমান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার যোগদান করার পর হতে কঠোর তদারকি ফলে উপজেলা জুড়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষার পরিবশে ফিরে এসেছে এবং অভিভাবকদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমা বেগম জানান , কোন প্রকার অনিয়ম দূর্নীতি করবো না যতক্ষণ দায়িত্বে থাকবো কাউকে কোন প্রকার অনিয়ম দূর্নীতি করতে দিবো না । আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগদায়ের কারীদের অনুরোধ জানাবো কোন তথ্য প্রমাণ থাকলে তদন্ত কর্মকর্তার নিকট প্রদান করুন।
এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে সহকারি পরিচালক আবুল কাশেম মিয়া জানান,এ মহুর্তে বক্তব্য প্রদানের কিছু নেই তবে তদন্ত শতভাগ সম্পূর্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য,গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিবেশ মুখ থুবরে পড়ায় ব্যাপক ভাবে তদারকি করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনায় বাঘিণীকন্যা খ্যাত শিক্ষা অফিসার নাজমা বেগম এর বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগে একটি অনিয়ম ও দূর্নীতিবাজ সেন্ডিকেট চক্র।