দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা দিনাজপুরে মধু চাষীদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।
প্রধান অতিথি জনাব মোঃ ইকবালুর রহমান এমপি, মাননীয় হুইপ,বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ।
দিনাজপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খন্দকার মোহাম্মদ রওনাকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও আলোর পথে জাগো যুব সংগঠনের সভাপতি মোসাদ্দেক হেসেনের সঞ্চালনে বক্তব্য রাখেন, বিশেষ অতিথি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বশিরুল আল মামুন, দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইমদাদ সরকার, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ফরিদুল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সোহাগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মামুন হাসান চৌধুরী, আউলিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, আউলিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. জাকির হোসেন, উত্তরবঙ্গ মৌচাষী সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ, বিসিকের মৌ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. রুহুল আমীন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ইকবালুর রহিম বলেছেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। সেই স্থলে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে মধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মাসিমপুরের লিচু, কাটারি ভোগ চাল বাংলাদেশে সমাদৃত। ঠিক তেমনইভাবে এই দিনাজপুর মাসিমপুরের মধুটিকেও যদি আমরা ব্রান্ডিং করতে পারি। তবে বাংলাদেশে একটি অর্থকারী ফসল হিসেবে রূপান্তরিত করতে পারব। মধুর একটি সম্ভবনাময় জায়গা হচ্ছে দিনাজপুর। আমি তা বিশ্বাস করি।” ইকবালুর রহিম আরও বলেন, “মধু উৎপাদনে ২ লাখ যুবকের কর্মসংস্থান হলে সারাদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে প্রায় ৬৪ লাখ যুবকের।” তাছাড়াও ভবিষ্যতে ৫০০ মেট্রিকটন মধু উৎপাদন সম্ভবনার কথাও তিনি জানান। ধান লিচুতে ভরপুর দিনাজপুর অঞ্চলকে মধু জেলায় রূপান্তর করতে কাজ করে যাচ্ছেন মোসাদ্দেক হোসেন নামে এক উদ্যোক্তা। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫০ জনকে তিনি প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এছাড়াও ৮০ জনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান আছে এবং ১০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যাগ গ্রহণ করেছেন তিনি।