স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫২ বছরেও মেলেনি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জব্বার মিয়ার পরিবারে সরকারি ঘর।
সরেজমিনে জানা যায় – গাইবান্ধা সদর উপজেলা রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ভগবানপুর গ্রামে ভাঙা টিনের জোড়াতালির একটি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবদুল জব্বার মিয়ার পরিবার। ১৯৯৪ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জব্বার মিয়া মারা যাওয়ার পর ছেলে শাহজাহান মিয়ার উপার্জিত অর্থ এবং সরকারি মাসিক ভাতা হিসাবে পাওয়া টাকা দিয়ে অতিকষ্টে ৬ সদস্যের সংসার চলছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মোছা: জোবেদা বেগম প্রতিবেদককে জানান – ১ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। অভাবের কারণে বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে শাহজাহান কখনও রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন আবার কখনো ঢাকায় রিকশা চালান। বাড়িতে জোড়াতালি দেয়া ভাঙা টিনের জরাজীর্ণ একটি ঘরে অতিকষ্টে দিন পার করছি। ঝড়বৃষ্টি আসলেই শুরু হয় আতংকে থাকতে হয় আর বৃষ্টি আসলেই সব জায়গায় পানি পরে।তাই বৃষ্টি বাদলের সময় পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয়। আমার স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত ঘর পাওয়ার জন্য ২০২০ সালে একটি আবেদন করেছিলাম। ৩ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো ঘর পাইনি। এবিষয়ে, গাইবান্ধা সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার নাসির উদ্দীন সাহ্ বলেন- পরবর্তী সময়ে ঘর বরাদ্দ আসিলে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে এই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ।
এক প্রশ্নের জবাবে- গাইবান্ধা জেলা সদর মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি আলী আকবর বলেন -আমি পরবর্তী ঘরের বরাদ্দ আসলে আবেদনের জন্য সুপারিশ করবো, আমি দেওয়ার কে,আগে আনফিট ছিল তাই পায়নি। এবার আবেদন করুক।
রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য সাথী বলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারটি খুবই কষ্টে জীবন যাপন করছে। ঘরের অবস্থা বেহাল, শুধু ভিটামাটি আছে, আবাদী জমি-জমা নেই। সরকারের পক্ষ থেকে একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হলে পরিবারটির অনেক উপকার হত। এদিকে স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫২ বছরেও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জব্বার মিয়ার পরিবারে সরকারি ঘর নাহওয়ায় জনমনে নানান কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে ঘরের ব্যবস্থা করবেন জেলা প্রশাসক মোঃ অলিউর রহমান এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন এলাকাবাসী।