লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী সীমান্ত থেকে এক বাংলাদেশী গরু রাখালকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় চোরাচালানকারীরা। গত ৮ দিন ধরে মাহাবুর রহমান মিলন নামে ওই গরু রাখালকে আটকিয়ে রেখে নিযার্তন করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, ওই উপজেলার গোতামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোনাব্বেরুল হক মোনা ও তার ভগ্নিপতি-ভাগিনার গরু পারাপার করতে গেলে তাকে ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় চোরাচালানকারীরা। আটক মাহাবুর রহমান মিলন ওই ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের কোরবান আলীর পুত্র বলে জানা গেছে।
ভারতীয় চোরাচালানকারীদের কাছে আটক মাহাবুর রহমান মিলনের বাবা কোরবান আলী জানান, তার ছেলে গোতামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোনাব্বেরুল হক মোনাসহ তার ভগ্নিপতি রমজান আলী ভাগিনা সিফাতের গরু পারাপার করতে সীমান্তে যায় গত ৮ মার্চ। এ সময় ভারতীয় চোরাচালানকারীরা তার ছেলেকে ধরে নিয়ে যায়। বাংলাদেশী গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের পাওনা টাকা আদায়ের কৌশল হিসাবে তার ছেলে মিলনকে ধরে নিয়ে যায় বলে জানান কোরবান আলী।
তিনি আরো জানান, তার ছেলেকে একটি ঘরের ভিতরে আটকিয়ে রেখে নিযার্তন করা হচ্ছে। ছেলেকে উদ্ধারের জন্য গত ৮ দিন ধরে ইউ-পি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্নজনের কাছে গেলেও তিনি কারো সহযোগিতা পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে রমজান আলীর সাথে কথা হলে তিনি নিজে গরু ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করলেও তার ছেলে সিফাত নিজে গরু ব্যবসার সাথে জড়িত তা স্বীকার করেন। তবে মিলন ভারতে আটক থাকলেও তার কারণে আটক হয়নি বলে দাবী করেন।
এদিকে গোতামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোনাব্বেরুল হক মোনা নিজে ভারতীয় গরু ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করলেও তার ভাগিনা সিফাত গরু ব্যবসার সাথে জড়িত তা স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহা আলম জানান, এ ঘটনায় তিনি কোনো অভিযোগ পায়নি। যদি কেউ অভিযোগ করেন তাহলে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।