ক্যান্সার ও হৃদরোগ প্রতিরোধী অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সূর্যমুখী ফুল চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সাদুল্লাপুর উপজেলার ২নং নলডাঙ্গা ইউনিয়নে কম খরচে আর স্বল্প সময়ে অধিক লাভ হওয়ায় মান্দুয়ারপাড়া গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা আসাদুজ্জামান খুশি। আর সূর্যমুখী ফুল চাষে সহযোগিতা করেছে, সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মো.মতিউল আলম ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো.আজিজুল ইসলাম। এরই মধ্যেই গাছে ফুল ধরতে শুরু করেছে। এক একটি ফুল যেন হাসিমুখে সূর্যের আলো ছড়াচ্ছে। চারিদিকে হলুদ ফুল আর সবুজ গাছে সে এক অপরুপ দৃশ্য। প্রতিদিন আশপাশের এলাকা থেকে সৌন্দর্য পিয়াসু মানুষ সূর্যমুখী ফুলের ক্ষেত দেখতে আসছে। অনেকেই ফুলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগের প্রণোদনায় বাণিজ্যিকভাবে এক বিঘা জমিতে সূর্যমূখীর আবাদ করেন উদ্যোক্তা চাষি আসাদুজ্জামান ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকেই পুরো বাগানে ফুল ফুটতে শুরু করেছে। এতেই সবার নজর পড়ে সূর্যমুখী বাগানে। যতোদূর চোখ যায় দেখে মনে হয় বিশাল আয়তনের হলুদ এক গালিচা। চোখে পড়ে শুধু সূর্যমুখী ফুল। আর এই ফুলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে মনোরম দৃশ্য স্মৃতির পাতায় বন্দি করছেন অনেকেই। সূর্যোদয় থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ফুটে থাকা এই ফুল দর্শনার্থীদের টানছে এক আমোঘ আকর্ষণে। হলদে ফুলের সমারোহে হারিয়ে যেতে দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন সূর্যমুখী বাগানে। এদিকে সূর্যমুখী ফুল চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মতিউল আলম। বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতায় সাদুল্লাপুর উপজেলার ২নং নলডাঙ্গা ইউনিয়নে ১০ জন কৃষককে সরকারিভাবেব বীজ ও সার বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে। নলডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুর গফুর আলী বলেন, এই ফসলটি সাদুল্লাপুর উপজেলার চাষিদের জন্য সুখবর বয়ে আনতে যাচ্ছে। খুব অল্প টাকায় বেশি মুনাফা সম্ভব এই চাষের মাধ্যমে। এই ফুলের বীজ থেকে আমরা যে তেল পাবো সেটায় ক্ষতিকর কলেস্টেরল নেই।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মতিউল আলম বলেন, এ উপজেলায় সর্বপ্রথম সরকারি প্রণোদনায় সূর্যমুখী বীজ ও সার সহায়ক হিসেবে দেয়া হয়েছে। দেশের মানুষের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতে এ ফুলের চাষ করা হয়েছে। এ সূর্যমুখী ফুল থেকে উৎপাদিত তেলে ৪০ ভাগ লিনোলিক এসিড থাকে যা হার্টের জন্য অত্যন্ত ভালো।