বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সিগারেটের গোডাউন ডাকাতির সংঘবদ্ধ ডাকাতি চক্রের মুল ৩ মুলহোতা নাছির উদ্দিন মোল্লা দেলোয়ার, হাফিজুর রহমান ও জাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার সহ নগদ দুই লক্ষ টাকা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ আটক করেছে গাইবান্ধা জেলা ডিবি পুলিশ। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেছেন জেলা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন।
প্রেস ব্রিফিং এ গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন জানান- গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার নুনিয়াগাড়ী মেসার্স উচ্ছাস তরঙ্গ ট্রেডার্সে গত ২৯ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখ আনুমানিক রাত ২টা হতে ৪টার মধ্যে একটি ডাকাতি সংঘটিত হয়। এতে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৬ টাকা, ৫০ হাজার টাকা মুল্যের একটি কম্পিউটার সিপিইউ, ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি এইচপি প্রিন্টার, নাইট গার্ডের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন কম্পানির ১০ লাখ ২৪ হাজার ৬শ ৬২ হাজার টাকা মূল্যের ২৫ কার্টুন সিগারেট ডাকাতি করে নিয়ে ডাকাত চক্র। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সিগারেটের গোডাউনে ডাকাতির সংঘবদ্ধ চক্রের মুল হোতা এরা।
এতে পলাশবাড়ী থানায় ১লা ডিসেম্বর ২০২২ ইং তারিখ ৩৯৫/৩৯৭ ধারার পেনাল কোডে একটি মামলা হয়। যার মামলা নং- ১। পরে গাইবান্ধা জেলা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক বদরুজ্জামান মোল্লার নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম বিরামহীনভাবে ঢাকা ও গাজীপুর এর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আন্ত:জেলা ৩ ডাকাত দলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
ডাকাতরা হলো: বরগুনা জেলার আশকোনার মৃত চান মিয়ার পুত্র নাছির উদ্দিন মোল্লা দেলোয়ার, গাজীপুর জেলার কাশিমপুর গ্রামের সারদাগঞ্জ গ্রামের মৃত ছমর উদ্দিনের পুত্র হাফিজুর রহমান এবং ঝিনাইদহ কোট চাদপুর উপজেলার এলাঙ্গী স্থানের আব্দুল হামিদ এর পুত্র জাহিদুল ইসলাম সহ নগদ দুই লক্ষ টাকা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ আটক করেছে গাইবান্ধা জেলা ডিবি পুলিশ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- গাইবান্ধা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উদয় কুমার সাহা, গাইবান্ধা ট্রাফিক অফিসার ইনচার্জ নূর আলম সিদ্দিক, ডিবির পুলিশ পরিদর্শক বদরুজ্জামান মোল্লা, এস আই মমিরুল এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
উল্লেখ্য, এছাড়াও ২২ জানুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখে রাত আনুমানিক ১২ টা ৪৫ মিনিট হতে ৪ টার মধ্যে গাইবান্ধা শহরের মাষ্টারপাড়াস্থ খন্দকার মোড় এলাকার সবুর এন্ড ব্রাদার্স প্রতিষ্ঠান হতে ৫লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের মেরিস সিগারেট চুরি যায়। নভেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ এর ৪৫৭/৩৮০ পেনাল কোড উক্ত মামলা সংক্রান্ত জব্দকৃত ভ্যান দিয়ে চুরি করেছে বলে স্বীকার করেছে। যার মামলা নং- ৩২। উক্ত ডাকাতদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ৭ থেকে ৮ টি মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে।
বিডি গাইবান্ধা/