” ধর্মীয় রাষ্ট্র নয়, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র চাই, ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার” এই লক্ষ্যকে সামনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার আয়োজনে শুক্রবার সকালে শহরের ভিএইড রোড কালিবাড়ী মন্দিরে সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন- বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি রনজিত বকসী সুর্য্য।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল সাহা’র সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার উপদেষ্টা গোপাল চন্দ্র পাল, সাংবাদিক গোবিন্দ লাল দাস, সাংস্কৃতি ব্যাক্তি প্রমতোষ সাহা, সহ-সভাপতি দীপক কুমার রায়, বিরতি রঞ্জন সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সজল সরকার, জেলা কমিটির সদস্য প্রভাত অধিকারী,সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন সাহা,
যুব ঐক্য পরিষদ গাইবান্ধার সদস্য সচিব অভিজিৎ দাস অভি, ছাত্র ঐক্য পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার সদস্য সচিব বিলাস চন্দ্র মহন্ত শুভ, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সভাপতি শৈলেন্দ্র মোহন রায়, সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দাস রন্তু, সাদুল্লাপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক বিবেকানন্দ সরকার, পলাশবাড়ী উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুমার দাস, সাঘাটা উপজেলার সভাপতি দিজেন্দ্রনাথ পাল, সাধারণ সম্পাদক অতুল চন্দ্র সাহা, জেলা কমিটির সদস্য ও সাঘাটা পুজা উদযাপন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক নগেন বকসী, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি দীপক কুমার সরকার বাবু, সাধারণ সম্পাদক উদয় নারায়ন, ফুলছড়ি উপজেলা সাধারণ সম্পাদক তপন, পুজা উদযাপন পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ পরেশ চন্দ্র সরকার, সাধারণ সম্পাদক সুদেব চৌধুরী, সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্যাহেল কবির ফারুক সহ অনেকে।
দুটি এজেন্ডা তুলে ধরে হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ গাইবান্ধা জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন- ১৫ মার্চ তারিখ এর মধ্যে ইউনিয়ন ও ৩০মার্চ তারিখের মধ্যে উপজেলা সম্মেলন করতে হবে। সে সাথে আরও বলেন- সরকার ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারে হিন্দুদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দাবী আদায়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তারা সে দাবি বাস্তবায়ন করেনি। বিগত ২০২১ সালে শারদীয় দুর্গাপুজার সময় কুমিল্লায় একটি মন্দিরে কোরআন শরীফ রাখাকে কেন্দ্র করে সারা বাংলাদেশের ২৬ টি জেলায় সাম্প্রদায়িক সহিংস ঘটনা ঘটিয়েছে সরকার দলীয় লোকজন। তার আজ পর্যন্ত কোনো বিচার হয়নি। এ ছাড়াও ফেসবুকে পোষ্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাসাবাড়ি ও মন্দিরে ভাংচুর, মা বোনদের ইজ্জতের উপর হামলার ঘটনা ঘটলেও প্রকৃত অপরাধীদের কোনো শাস্তি হয়নি। আদালতে দাড়ানো মাত্র জামিনে মুক্তি পেল। এ জন্য হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ, পুজা উদযাপন পরিষদ, খিলন রবিদাস সহ বিভিন্ন সমন্বয়ে ঐক্য গঠন হয়েছে হিন্দুদের দাবী আদায়ের জন্য। দাবি পুরনে সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে হবে। সুসংগঠিত করতে হলে সকলকে একত্র হতে হবে।
বিডি গাইবান্ধা/