গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী রিপোর্টাস ইউনিটি কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জোড় পূর্বক কাবিনামায় স্বাক্ষর নেওয়ার প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী আলেক মিয়া (৩০)।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রিপোর্টাস ইউনিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ, সালাম ও শুভেচ্ছা নিবেন। আমি মোঃ আলেক মিয়া (৩০), পিতা- মৃত-আঃসামাদ মন্ডল, সাং- অভিরামপুর, থানা- গোবিন্দগঞ্জ, জেলা- জেলা-গাইবান্ধা,বর্তমান ঠিকানা – নুনিয়াগাড়ী, পলাশবাড়ী গাইবান্ধা। আপনাদের মাধ্যমে আইনী সহায়তা কামনা করিয়েছে যে, প্রতিপক্ষ ১ মোছাঃ শাবানা বেগম (৩২), পিতা-মোঃ শাহজাহান মন্ডল সাজা, ২। মোঃ মিজানুর রহমান (৪৫), পিতা-মৃত হাফিযুর রহমান, ৩। মোঃ শাহজাহান মন্ডল (8) সাজা (৫৫), পিতা-মৃতঃ মজিল মণ্ডল, ৪। মোছাঃ মেন্দী বেগম (৫২), স্বামী-মোঃ শাহজাহান মণ্ডল (c) সাজা, সর্বসাং- অভিরামপুর, থানা- গোবিন্দগঞ্জ, মোছাঃ লাইলী বেগম (৩৫), স্বামী-মোঃ শাহজাহান মন্ডল, ৬। মোঃ আলমগীর কবির (৩৫), পিতা-মোঃ ইব্রাহীম মিয়া, ৭। মোঃ শরীফ মিয়া (৩০), পিতা-মোঃ শহীদুল ইসলাম, ৮। মোঃ রঞ্জিদ মিয়া (৩৫), পিতা-মৃত আইয়ুব আলী, সর্বসাং-কাপড়, থানা- পলাশবাড়ী, জেলা- গাইবান্ধা। প্রতিপক্ষের মধ্যে ১নং প্রতিপক্ষের সহিত আনার অনুমান ১৪- ১৫ বছর পূর্বে নোটারী পাবলিকের কার্যালয় (সমগ্র বাংলাদেশ) রংপুরে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ হয়। বিবাহের পর আমাদের সংসার জীবনের বনিবনা না হওয়ায় আমি দেনমোহরের সমস্ত টাকা বুঝিয়া দিয়া আনলতের মাধ্যমে তাকে তালাক প্রদান করি। তাকে তালাক প্রদানের পর থেকেই আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধামকি দিয়ে বলিত যেকোন সময় আমাকে অপরহরণ করিয়া নিয়া গিয়া ১নং প্রতিপক্ষের সাথে জোরপূর্বক আমাকে বিবাহ দিবে। ফলে আমি ২২/১২/২০২২ তারিখে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি, যাহার জিডি নং- ১২১৯। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করিয়া প্রতিপক্ষগণ আমাকে গত ইং ১৮/০১/২০২৩ তারিখ সন্ধ্যা রাত্রি অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় কোমরপুর হইতে আমাকে অপহরণ করিয়া অটোভ্যান যোগে একটি শ্যালোমেশিনের ঘরে নিয়ে গিয়ে আমাকে মারপিট করিয়া এবং খুন জখমের ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাকে অস্ত্রের মুখে ৪নং বরিশাল ইউনিয়নের নিকাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রার জনৈক শাহ আলম কাজীর মাধ্যমে কাবিননামায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়। কাবিননামায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়ার পরে ৫নং প্রতিপক্ষের বাড়ীতে আটক করিয়া রাখিলে আমার বর্তমান স্ত্রী লোকমুখে সংবাদ পেয়ে ১৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে। উক্ত বিষয়ে আমি বি আদালতে সিআর মামলা নং-৩২/২০২৩ইং – ৩৬৩/৩৪১/৩৮০/৩৮৬/৩২৩/১০৯ দঃবিঃ দায়ের করি। যা বর্তমানে চলমান আছে।
প্রতিপক্ষগণ আমাকে সহ আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সময় মারপিট সহ খুন জখমের ভয়ভীতি দেখাইয়া বলে যে, আমি মামলা উঠাইয়া না নিলে আমাদের বাড়ীতে উঠতে দিবেনা, মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটাবে এবং আমাকেসহ আমার স্ত্রী মোছাঃ রুমা আক্তারকে সুযোগমত পাইলে পুনরায় অপহরণ করিয়া আমাদেরকে মারধর সহ খুন জখম করিয়া আমাদের লাশ শুম করিবে মর্মে হুমকী-ধামকী প্রদান করিতেছে। এমতাবস্থায় আমি আমার বসতবাড়াতে অবস্থান করতে পারতেছিনা এবং আমি জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি। তাই আমি আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিপক্ষগণের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে গাইবান্ধা জেলা ও থানা পুলিশের সহায়তা কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনের এসময় ভোক্তভোগী আলেক মিয়ার বর্তমান স্ত্রী রুমা বেগম,রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামসহ সংগঠনটির অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।