২০ শে ফেব্রুয়ারি সোমবার রাত ১২ টা ১ মিনিটে শুরু হয় ২১ শে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এর প্রথম প্রহর। এদিন মাতৃভাষা আন্দোলনের ৫২ বছর পূর্ণ হলো।
এদিন রাত ১২টা ১ মিনিটে গাইবান্ধা পৌরপার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে একুশের কর্মসূচি শুরু হয়। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এর মধ্য দিয়ে সকল বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান গাইবান্ধার সরকারি, বেসরকারি অফিস, বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দ।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন: মহান শহীদ দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে পৌরপার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকল বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- গাইবান্ধা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) সুশান্ত কুমার মাহাতো, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব) রবিউল হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হাসান সিদ্দিক, গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফুল আলম, সহকারী কমিশনার ভূমি, ( সদর) রেজাউল ইসলাম।
জেলা পুলিশ: জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করেন গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বি সার্কল আবু লায়েচ মো: ইলিয়াস জিকু।
জেলা আওয়ামীলীগ: জেলা আওয়ামীলীগ এর পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করেন গাইবান্ধা জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মৃদুল মোস্তাফিজ ঝন্টু সহ অনেকে।
উপজেলা পরিষদ: উপজেলা পরিষদ এর পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করেন গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ সারোয়ার কবির ও ভাইস চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাসলিমা সুলতানা স্মৃতি।
জেলা পরিষদ: গাইবান্ধা জেলা পরিষদ এর পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, জেলা পরিষদ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন।
পৌরসভা: গাইবান্ধা পৌরসভার পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করেন গাইবান্ধা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র শহীদ আহমেদ, প্যানেল মেয়র এ,জেড এম মহিউদ্দিন রিজু, লাইসেন্স পরিদর্শক আহাদ বাবু।
এলজিইডি গাইবান্ধা: গাইবান্ধা এলজিইডি পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করেন নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ: গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ বিভাগ এর পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করেন নির্বাহী প্রকৌশলী ফিরোজ আকতার সহ অনেকে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর:জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করেন নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজওয়ান হোসেন সহ অনেকে।
প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর: গাইবান্ধা জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর এর পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করেন জেলা প্রানী সম্পদ অফিসার মাছুদার রহমান সরকার, জেলা ট্রেনিং অফিসার রহমতউন নবী, ভেটেরিনারি সার্জন ডা: আনোয়ার হাসান।
পুনাক: পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করেন পুনাক গাইবান্ধার সভানেত্রী ও ( এসপি সহধর্মিণী) মাহবুবা আক্তার, সহ-সভানেত্রী ( এ,এসপি সহধর্মিণী) রিফা ফারিয়াহ।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর : জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গাইবান্ধার পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করেন সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম।
বিআরটিএ গাইবান্ধা: গাইবান্ধা বিআরটিএ পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করেন সহকারী পরিচালক ইঞ্জি: রবিউল ইসলাম সহ অনেকে।
ইঞ্জিনিয়ারর্স ইনস্টিটিউশন গাইবান্ধা: গাইবান্ধা ইঞ্জিনিয়ারর্স ইনস্টিটিউশন এর পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করেন- গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী ফিরোজ আকতার, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল আহমেদ, বিএডিসি গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী চিত্তরঞ্জন রায়, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার শওকত রিফাত।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট: সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট গাইবান্ধার পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট গাইবান্ধার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ মিয়া, শিল্পী জিয়া। অন্যদিকে- ছাত্রলীগ গাইবান্ধা জেলা শাখা, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জেলা বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখা, যুব ঐক্য পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখা, গাইবান্ধা প্রেসক্লাব, প্রেসক্লাব গাইবান্ধা সহ অনেকে।
এছাড়াও ২১ ফেব্রুয়ারী সকালে কালো ব্যাজ ধারণ, প্রভাতফেরি সহকারেপৌরপার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকল বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভিন্ন ব্যাংক, স্কুল কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এর সদস্য ও নের্তৃবৃন্দরা।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) মহান একুশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও গত কয়েক বছর ধরে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
বাঙালি জাতির জন্য এই দিবসটি হচ্ছে চরম শোক ও বেদনার। অনদিকে মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদরা জাতিকে সে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার দিয়ে গেছেন। ১৯৫২ সালের এদিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠির চোখ-রাঙ্গানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে।
মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শংকিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।
বিডি গাইবান্ধা/