গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার মাঠেরহাট বাজার আবু বকর ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম- দূর্ণীতির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রতিষ্ঠানের গর্ভনিং বডির নির্বাচিত ৩ সদস্য। মাঠের হাটের আজ বুধবার সকালে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অভিভাবক সদস্য নাজমুল হক প্রধান। এসময় জাইদুল ইসলাম বাবলু,মোর্শেদুল ইসলাম,আব্দুল মামুদ,জাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় অভিভাবক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,এ সংবাদ সম্মেলনে আমার সঙ্গে উপস্থিত আছেন, আমার সহকর্মী অভিভাবক সদস্যবৃন্দ এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অত্র মাদ্রাসার গভর্নিং বডির আমরা ৩ জন নির্বাচিত সদস্য এবং বাকি সদস্যরা অধক্ষ্যের মদদপুষ্ট। ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয় আমারদের গভর্নিং বডিকে গত ০২/০১/২০২২ অনুমোদন দিলেও সুচতুর অধ্যক্ষ মাওলানা সাইদুর রহমান আমাদেরকে ২৯/০৫/২০১২ ইং তারিখে অনুমোদন দেন এবং এই ৫ মাসে যাবতীয় কার্যক্রম পূর্বের গভর্নিং বডির দ্বারা চালিয়ে যান। পরবর্তীতে তাদের অনেক অনিয়ম দূর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারীতা আমাদের চক্ষুষ্মান হতে থাকে যা প্রতিবাদ করলেও অধ্যক্ষের মদদপুষ্ট কমিটির কাছে আমরা সফল হতে পারিনি। পরবর্তীতে ২ টি শূন্য পদে (১) অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী, (২) ঝাড়–দার/নৈশ্য প্রহরী পদে জনবল নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহিত হলেও অধ্যক্ষ এবং তার মদদপুষ্ট কমিটি কৌশলে একটি অতিরিক্ত পদ অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটা যোগ করে নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে বিধি বহির্ভূত ভাবে নিয়োগ প্রদানের চেষ্টা চালালে আমরা অভিভাবক সদস্যরা সিনিয়র সহকারী জজ আদালত পলাশবাড়ী, গাইবান্ধায় ২৩১/২২ ঘোষনা মূলক মামলা দায়ের করি। উক্ত মামলাটি বর্তমান চলমান থাকলেও অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান তার বক্তব্যে মামলাটি খারিজ হয়েছে বলে মিথ্যাচার করেন এবং মামলার তথ্য গোপন করে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ডিজি মহোদ্বয়ের প্রতিনিধি চেয়ে আবেদন করেন এবং সু- কৌশলে গত ২৭/০১/২০২৩ তারিখে আর মাদ্রাসায় কিছু ভারাটে লোকজনের সহযোগীতায় এবং ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্নের চেষ্টা চালায় কিন্তু সরকারী বিধি মোতাবেক নিয়োগ যোগ্যপদ ও কমিটি নিয়ে মামলা থাকিলে নিয়োগ প্রদান করা যাবে না এবং আদালতে মামলা বিচারাধীন এ নিয়োগ সংশ্লিষ্ট ১৮ জন বৈধ প্রার্থীর ছবি সম্বলিত আবেদন পত্র, ব্যাংক ছাপট,প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রাদি, রেজ্যুলেশন বহি নোটিশ বহি, ইত্যাদি আদালতে নথি ভূক্ত থাকায় গণমাধ্যম কর্মীগন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশবাড়ী, বেতকাপা ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় পরিক্ষা সম্পন্নে বার্থ হয়ে ভিজি প্রতিনিধি নিয়োগ পরিক্ষা স্থগিত করেন।
গত ৩০ জানুয়ারি অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান আমার বিরুদ্ধে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে আনীত অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানের সংবাদ সম্মলনে আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। অধ্যক্ষের অনিয়ম দূর্নীতি ও অবহেলায় ঐতিহ্যবাহী মাঠের বাজার আবূ বকর ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা আজ শিক্ষা, অবকাঠামো এবং পরিবেশগত হুমকির সম্মুখীন। অতএব, আপনাদের মাধ্যমে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে মাদ্রাসার সুনাম ও শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে নিবেদন করছি।