করতোয়া নদীর ভাঙ্গন রোধে যেখানে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিনে কোটি কোটি টাকা খরচ করে নদীর পার ও বন্যা নিয়ন্ত্রনে নদীর ভাঙ্গন রোধ করতে কাজ চলছে ঠিক সেই কাজের অপর প্রান্তে দিনে রাতে অভিনব কায়দায় নদী পারের আবাদি জমি গুলো ভেকু দিয়ে কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে যেমন আবাদী জমি গুলো নদীতে বিলিন হয়েছে তেমনি পাশের জমি গুলো ব্যাপক ভাবে ভাঙ্গন হুমকিতে পড়ছে। অন্যদিকে নদীর ভাঙ্গন রোধে টুংরাদহ এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ রক্ষায় ব্লক নির্মাণে অবৈধ ভাবে বাধা সৃষ্টিকরে উন্নয়ন কাজে বাধা সৃষ্টি করেছে পীরগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় কয়েকজন স্বার্থনেষী মানুষ।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ,দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট,রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সীমানায় অবস্থিত এই টুংরাদহ এলাকা। দীর্ঘদিন অবহেলিত থাকার পর আজ যখন এ দূভোগ রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোটি কোটি টাকা খরচ করে উন্নয়নের চেষ্টা করছে সেখানে বিশেষ একটি মহল নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় উক্ত এলাকা হতে বালু ও মাটি কেটে নিয়ে নদীর চিত্র ও নকশা পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পীরগঞ্জের স্থানীয় প্রশাসন বিশেষ এ মহলের এহেন অপকর্মের কথা জানা পরেরও কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় জনমনে নানা গুজন চলছে। স্থানীয়রা জানা, দিনে রাতে এ অঞ্চলের আবাদী জমি গুলো কেটে সাবার করা হলো কেউ কোন ব্যবস্থা নিলো না। নদীর স্বাভাবিক অবস্থার পরিবর্তন হলো কেউ এলো না। প্রতি বছর আমার যে টুংরাদহে পানিতে ফসল হারাই তা আজ সংস্কার করতে দিচ্ছেনা পীরগঞ্জ উপজেলার একটি স্বার্থনেষী মহল।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া না গেলেও পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিরোদা রানী রায় জানান, চতরা ইউপি চেয়ারম্যান কে উক্ত স্থানে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, তিন জেলার করতোয়ার মোহনায় উন্নয়ন কাজে বাধা ও নদী হতে অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।