গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় ১৯৩৩ সালে প্রতিষ্ঠিত মাঠেরহাট বাজার আবু বক্কর ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ সাইদুর রহমান ও অন্যান্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সঠিক সময়ে মাদ্রাসায় উপস্থিত না হওয়া,মনগড়া ভাবে মাদ্রাসা পরিচালনা ও নিয়োগ বানিজ্যসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। ২৯ জানুয়ারী রবিবার বেলা সাড়ে ১২ ঘটিকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠেরহাট বাজার আবু বক্কর ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও অধ্যক্ষসহ অধিকাংশ শিক্ষকদের অনুপস্থিত পাওয়া যায়। তবে মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ রশিদুল হক প্রধান,ডিজিটাল প্রযুক্তি শিক্ষক মিজানুর রহমান,শাররিক শিক্ষক আব্দুল মমিনকে পাওয়া গেলেও মাদ্রাসার অধিকাংশ শিক্ষককে পাওয়া যায়নি।
মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ রশিদুল হক প্রধানসহ উপস্থিত শিক্ষকগণ জানান, সকাল থেকে ৪ টি ক্লাস শেষে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম হওয়ায় ও ক্লাস সপ্তম ও নবম শ্রেনীর বই সংকট থাকায় সাড়ে ১২ টার আগে ছুটি দেওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষ সাহেব মাদ্রাসায় আসেনি অন্যান্য শিক্ষকদের বিষয়ে আমি বলতে পারবো না৷ আপনারা অধ্যক্ষ সাহেবের সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এদিকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ সাইদুর রহমানের ব্যবহৃত নাম্বারে একাধিকবার ফোন করে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া অত্র মাদ্রাসার সভাপতি জয়নাল আবেদিন এর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের দুই সদস্য জানান,মাদ্রাসাটি শিক্ষার পরিবেশ মুখ থুবরে পরেছে। অধ্যক্ষ ও অন্যান্য শিক্ষকগণের মনগড়া ভাবে মাদ্রাসাটি পরিচালনা করছেন। তাদের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা, নিয়োগ বানিজ্যে আমরা অভিভাবক মহল চিন্তিত প্রতিষ্ঠানটি আজ ধ্বংসের দারপ্রান্তে দাড়িয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি রক্ষায় তারা গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক এবং জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের প্রয়োজনী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উক্ত মাদ্রাসার বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহাতাব হোসেন জানান,মাঠেরহাট বাজার আবু বক্কর ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শোকজ নোটিশ করা হবে। এবিষয়ে গাইবান্ধা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রোকসানা বেগম জানান,আমাদের কোন বই সংকট নেই। উক্ত মাদ্রাসার এহেন কর্মকান্ডের বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করবো। এদিকে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কামরুজ্জামান নয়ন এবিষয়টি অবগত করা হলে তিনি জানান,উক্ত মাদ্রাসার এ বিষয়ে জেনে ব্যাখা চাওয়া হবে এবং প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।