গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাটের মোংলা পাড়া গ্রামে শোয়ার ঘর থেকে গৃহবধূর ঝুলান্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গৃহবধূ লুৎফা বেগম(২৫)মোংলাপাড়া গ্রামের
বাবলুু মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী।
জানা যায়, বাবুল মিয়া দ্বিতীয় স্ত্রী লুৎফা বেগম বাড়িতে থাকতো। তার বাকপ্রতিবন্ধী প্রথম স্ত্রী শারমিন বেগম ছেলে মেয়ে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে থাকে। গত ২১ জানুয়ারি পাশের গ্রামে বাবলু মিয়ার একজন আত্মীয় মারা।সেই আত্মীয়কে দেখার জন্য স্বামীর বাড়িতে চলে আসে। প্রথম স্ত্রী শশুর শাশুড়ী ও প্রতিবেশীদের অনুরোধে রাতে স্বামীর বাড়িতে থেকে যায়।রাতের সবাই একসঙ্গে খাবার খেয়ে সাড়ে নয়টার দিকে আলাদা আলাদা ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। লুৎফা বেগম ও একাই তার নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে । সকালে স্বামী অনেক বেলা হলেও লুৎফা বেগম ঘুম থেকে না উঠায় ডাকাডাকি করে। সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে নিজ শয়ন ঘরের ধর্নার( তীর) সাথে লুৎফার বেগমকে ঝুলান্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্হলে গিয়ে নিজ শয়ন কক্ষ থেকে লুৎফা বেগমের লাশ উদ্ধার করে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,তাদের মাঝে প্রকাশ্য পারিবারিক কোন দ্বন্দ্ব ছিলো না।মনমাল্যের কারণেও অভিমানে করে লুৎফা বেগম আত্ম হত্যা করতে পারে।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই জিয়াউল আলম বলেন, সুরাত হাল পরীক্ষা পূর্বক লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।আপাতত ইউডি মামলা হয়েছে।
লুৎফা বেগমের বাবার বাড়ি নেত্রকোনায় তারা এখন এসে পৌঁছেনি।আমরা ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠিয়াছি।তার বাবা মা
অভিযোগ যদি করে তাহলে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্হা করা হবে।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার রায় ও ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পবিত্র কুমার বলেন, লুৎফা বেগমের লাশ ইউডি মামলা করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধায় পাঠানো হয়েছে।