নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ২০১৮ সালে কলেজটি সরকারিকরণে ঘোষণা হয়। এরপর শিক্ষকদের তালিকা প্রেরণের ক্ষেত্রে অধ্যক্ষ দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করেন।
কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতির প্রভাষক মাহবুবা জাহান বলেন, আমি এমপিওভুক্ত শিক্ষক হওয়ার পরও সরকারিকরণে শিক্ষক তালিকা থেকে আমার নামটি বাদ দেন অধ্যক্ষ। ২০০৫ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর আমি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পরি ফলে প্রতিষ্টানে ঠিকমত উপস্থিত হতে না পাড়ায় অধ্যক্ষের সেচ্ছাচারিতায় হঠাৎ করে আমার বিল বেতন বন্ধ করে দেয়।
এদিকে কলেজের ইসলামী শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক খায়রুল আনাম ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর নীলফামারীর রামগঞ্জে সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের গাড়ি বহর বোমা হামলা মামলার অন্যতম আসামি। এ ঘটনায় পরবর্তীতে এই প্রভাষক গ্রেফতার হয়ে ১৮ মাস হাজতে থেকে জামিন পেয়ে আবারও জেল হাজতে। তারপরও এই প্রভাষকের বিরুদ্ধে কোন রকম পদক্ষেপ না নেয়া আর অন্যদিকে স্বামীর মৃত্যুর শোকে ভেঙ্গে পরা মানসিক ভারসাম্যহীণ অবস্থায় গার্হস্থ্য অর্থনীতির প্রভাষক মাহবুবা জাহানের বিল বেতন বন্ধ করে দেয়া একটা সেচ্ছাচারিতাকেও হার মানায়।
অভিযোগে আরো জানা যায়, অধ্যক্ষ শিক্ষক কর্মচারীর উপস্থিত হাজিরা খাতা নিজেই সংরক্ষিত রাখেন এবং মাস শেষে একদিনেই বের করে তিনি ওনার পচ্ছন্দমত শিক্ষক কর্মচারীর হাজিরা খাতায়
স্বাক্ষর নেন।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ বলেন, নিয়মিত প্রতিষ্টানে না আসার কারণে বিধিমোতাবেক নিয়ম অনুযায়ী প্রভাষকের বেতন বন্ধ হয়েছে। অপরদিকে ইসলামী শিক্ষা বিভাগের প্রভাষকের বিষয়টি এখন দেখা হবে বলে সুকৌশলে এড়িয়ে যান। তবে কলেজে শিক্ষক কর্মচারীরা হাজিরা খাতায় প্রতিদিনে স্বাক্ষর দেন এবং এই প্রভাষকের করা অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।