গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এইচ এম মাহাবুবুল ইসলামের বদলির আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার জজ আদালত।
বুধবার (১১ জানুযারি) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এইচ এম মাহাবুবুল ইসলামের আইনজীবি এ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন।
তিনি বলেন, এইচ এম মাহাবুবুল ইসলামের বদলির আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। তিনি স্বপদেই বহাল থাকবেন। গত ৯ জানুয়ারি চেম্বার জজ আদালত এই স্থগিত আদেশ জারি করেন। সরকারি স্বাভাবিক কার্যক্রমে তাকে সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জানতে চাইলে এইচ এম মাহাবু্ুবুল ইসলাম মুঠফোনে বলেন, সাদুল্লাপুর উপজেলা থেকে বদলির যে আদেশ হয় তা উচ্চ আদালত স্থগিত করেছে। স্থগিত আদেশের প্রেক্ষিতে সাদুল্লাপুর উপজেলাতেই দায়িত্ব পালন করবো। তার স্থলে বদলি হয়ে আসা আবুল হোসেন কিংবা অন্য কারো অফিসের কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ নেই।
এরআগে, বদলির আদেশের পর গত ১১ সেপ্টেস্বর প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল-১ (বদলি নীতিমালা অনুযায়ী) একটি পিটিশন মামলা নং ৩৯৬ দায়ের করেন এইচ এম মাহাবুবুল ইসলাম। মামলার আদেশে আদালত বদলির আদেশ স্থিতাবস্থা করাসহ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সচিবসহ তিনজন বিবাদিকে লিখিত জবাব দাখিল করতে বলে। লিখিত জবাবের পর মাহাবুবুল ইসলাম প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালে বদলি স্থগিত চেয়ে আপলি মামলা (মামলা নং ৪৫) দায়ের করেন। এছাড়া তিনি আরেকটি মামলা করেন মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল সি.এম.পি-১২/২০২৩ আদালতে। এই মামলার শুনানিতে চেম্বার জজ আদালত মাহাবুবুল ইসলামের বদলি স্থগিতের আদেশ দেয়।
প্রসঙ্গত : গেল বছরের ২৮ আগষ্ট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এইচ এম মাহাবুবুল ইসলামকে বদলির আদেশ দেয়। অফিস আদেশে তাকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে যোগদান করতে বলা হয়। কিন্তু তিনি যোগদান না করে সেই বদলির আদেশ স্থগিতে উচ্চ আদালতের দ্বারস্ত হন।
এদিকে, এইচ এম মাহাবুবুল ইসলামের বদলির পর তার স্থলে বোদা উপজেলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল হোসেনকে সাদুল্লাপুর উপজেলায় পদায়নের আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু গত ১১ সেপ্টেম্বর এইচ এম মাহাবুবুলের বদলির আদেশটির ওপর স্থিতিবস্তা জারি করেন উচ্চ আদালত। অপরদিকে একই দিন গাইবান্ধা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে যোগদান পত্র জমা দেন বোদা থেকে বদলি হয়ে আসা আবুল হোসেন।
এমতাবস্তায় সাদুল্লাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহাবুবুল ইসলাম নাকি আবুল হোসেন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে শিক্ষকসহ বিভিন্ন মহলে।