লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ১৫ মার্চ কামারপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পিয়ন (এমএলএসএস) পদে যোগদান করেন আহাম্মদ আলী। ২০০২ সালে তার যোগদানের সকল কাগজপত্র যাছাই-বাছাইসহ অডিট সম্পূর্ণ করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অধিদপ্তর। ২০০৩ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হলে পিয়ন পদে আহাম্মদ আলী ইনডেক্সভুক্ত (ইনডেক্স নং ৫৪৫২০৯) হন। একই বছরের মে মাসে তার বেতন-ভাতা মঞ্জুর হয়। এরপর থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা সর্বশেষ ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত উত্তোলন করেন তিনি।
পিয়ন আহাম্মদ আলী জানান, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৯৬১ সালের ১১ মার্চ। কিন্তু ২০০৮ সালে জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুলক্রমে জন্ম তারিখ ৭ মার্চ ১৯৪৮ হয়। এই ভুলের সুযোগে তৎকালীন বিদ্যালয়ের সভাপতি সুবল চন্দ্র সরকার তার বেতন স্থগিত করাসহ ৬০ বছর চাকরি পূর্ণ দেখিয়ে সরকারী কোষাগারে টাকা ফেরতের নির্দেশ দেন। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী তার চাকরির মেয়াদ (অবসর গ্রহণ) শেষ হবে আগামী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী।
আহাম্মদ আলীর অভিযোগ, পিয়ন পদ শূন্য করে নিয়োগ বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে সভাপতি সুবল চন্দ্র সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেতন স্থগিতের সিন্ধান্তসহ বাধ্যতামূলক অবসর গ্রহণে তাকে চাপ দেয়াসহ নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছেন। এ কারণে বকেয়া বেতন ও জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য ৩ বছর ধরে নানা চেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও প্রতিকার মেলেনি। বরং বেতন না পাওয়ায় দিনদিন মানুষিক দুশ্চিন্তায় শারীরিক অসুস্থ্যতার পাশাপাশি বর্তমানে হারিয়েছে দৃষ্টি ও শ্রবণ শক্তিও।
আহাম্মদ আলীর নাতি আতাউর রহমান জানান, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দাদা পিয়নের চাকরি করছেন। মাসের বেতনের টাকায় সংসার চললেও গত ৩ বছর ধরে তার বেতন স্থগিত। এমন অবস্থায় চরম অর্থ কষ্টে বিনা চিকিৎসায় স্ত্রীকে নিয়ে মানবেতর দিনাতিপাত করছেন তিনি। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তার সমস্ত বকেয়া বেতন ও অবসর গ্রহণসহ ভাতা প্রদানের জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান তিনি।