গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় হাইওয়ে মহাসড়কে অবাধে চলছে থ্রি-হুইলার, সিএনজি,অটোরিক্সা,ব্যাটারি চালিত রিক্সা-ভ্যান। মানবিকভাবে চলতে দেওয়া এসব অবৈধ যান নিয়ন্ত্রণ মানিয়ে না চালিয়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটিয়ে একটি উর্পাজনক্ষম পরিবারের সদস্যকে মেরে ফেলে একেকটি পরিবারকে পথে বসাচ্ছে। কেউ বেঁচে গেলেও তাকে সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করতে হচ্ছে। এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? মহাসড়কে থ্রি-হুইলার, সিএনজি,অটোরিক্সা,ব্যাটারি চালিত রিক্সা-ভ্যান চলাচলে মহামান্য হাইকোর্ট ও সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উপজেলার সড়ক-মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব যান।
মহাসড়কের পাশে থানার সামনে সিএনজি স্ট্যান্ড করে মড়াসড়কের উপর সিএনজি ও অটোরিকশা রেখে যাত্রী ওঠানামানো করছে। এছাড়াও চৌমাথায় যানজট লাগিয়ে থানার সামনে,ঘোড়াঘাট রোডের রেজিষ্ট্রি অফিসের সামনে রাস্তার উপর সিএনজি,অটোরিক্সা,অটোভ্যান রেখে যাত্রী ওঠানামানো করছে। প্রেসক্লাব রোড,মহাসড়কের চৌমাথা থেকে পুরাতন সোনালী ব্যাংকের সামন থেকে মহাসড়কের উপর দুইধারে সিএনজি স্ট্যান্ড করে যাত্রী ওঠানামানো করা হচ্ছে। চৌমাথা থেকে গাইবান্ধা রোডের বাবু সুপার মার্কেট পযর্ন্ত সিএনজি ও অটোরিকশার স্ট্যান্ড করে যাত্রী আনা নেওয়া করানো হচ্ছে। এসব কারণে ব্যস্ততম চৌমাথায় যানজট লেগে থাকছে সব সময়। এসব কারণে পথচারী,স্কুলগামী শিশু,বালিকা,নারীদের পথ চলতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে বেশি। সাধারণ পথচারীদের চৌমাথা দিয়ে চলাচল করাই দায় হয়ে পড়েছে। একদিকে ডাকবাংলোর সামন দিয়ে পথচারীদের পথ বন্ধ করে সারি সারি ফলের দোকান,অন্যদিকে চৌমাথার চার পার্শ্বে চারটি সিএনজি ও অটোরিকশার স্ট্যান্ড গড়ে ওঠায় জনভোগান্তি আরো বেশি চরমে উঠেছে। এসব অবৈধ যান নিয়ন্ত্রণ না মানিয়ে চলার কারণে দিন দিন প্রাণহানীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই অবৈধ যানের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন সাকোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা,জুনদহ বাজারে একই পরিবারের তিনজন,মহেষপুরে ৫ জন,তারপর ২ জন,এরপর আরো ৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন সিএনজি,অটোরিক্সা এক্সিডেন্টে। আরো অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন এবং এখনো পঙ্গুত্ববরণ করেছেন শত শত পরিবারের উর্পাজনক্ষম এক মাত্র।
যাত্রীসহ সচেতন নাগরিক বলছেন,মহাসড়কে সিএনজি -অটোরিক্সা, ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান-রিক্সা ওঠা নিষিদ্ধ হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর বাস্তবায়নে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।তিনজনের আসনে পাঁচজন বসছেন। যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠা-নামা করা হচ্ছে।এতে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিএনজি ও অটোরিকশা চালক জানান, মহাসড়কের বিভিন্ন রুটে প্রায় ৩ শতাধিক সিএনজি -অটোরিক্সা চলাচল করে। মহাসড়কের উভয় পাশ দিয়ে বাইপাস অনেক অঞ্চলিক সড়ক রয়েছে। এসব সড়ক দিয়ে যেতে সময় একটু বেশি লাগবে।তবে নিরাপদে যাওয়া যাবে। কিন্তু যাত্রীরা যেতে চায় না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অটোরিকশা চালক জানান,পুলিশ বাধ্য করলে তবেই চালক এবং যাত্রীরা আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে চলাচল করতে চাইবে। এতে আঞ্চলিক সড়ক এলাকার বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নত হবে।
সিএনজি যাত্রী গোবিন্দগঞ্জের বাসিন্দা জানান, মহাসড়কে সিএনজি ও অটোরিকশায় যাতায়াত করা মানে জীবন হাতে নিয়ে বসে থাকা। তারপরেও জরুরি প্রয়োজনে যেতে হয়।
পাশের সিটে বসা আরেক যাত্রী বলেন, মহাসড়কে সিএনজি-অটোরিক্সা ওঠা নিষিদ্ধ হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর তা বাস্তবায়নে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।এতে প্রায়ই দূর্ঘটনার নামে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
ঢাকা কোচ চালক ওচমান আলি জানান, সিএনজি-অটোরিক্সা দাপটে মহাসড়ক অস্থির থাকে। এরা যেকোনো দিক থেকে হঠাৎ করেই মহাসড়কে চলে আসে। যেখানে-সেখানে ব্রেক করে।
এবিষয়ে পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মাসুদুর রহমান মাসুদ জানান, মহাসড়কে থ্রি-হুইলার,সিএনজি,অটোরিক্সা চলাচল করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।আমরা এই বিষয়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।