লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলামের উপর হামলার ৭ দিন অতিবাহিত হলেও ওই ঘটনার মুল হোতা রাকিবুজ্জামান রাকিবকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
গত ২৪ নভেম্বর ওই উপজেলার ভোটমারী এলাকার কলেজ ছাত্র হাফিজুলের উপর হামলা চালায় রাকিবুজ্জামান রাকিব ও কাওসার আহম্মেদসহ কয়েকজন। হাফিজুল ইসলাম উত্তর ভোটমারী গ্রামের আব্দুস ছামাদের পুত্র ও রাকিবুজ্জামান রাকিব ভোটমারী গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর রাকিবুজ্জামান রাকিবের হামলা শিকার হয় আল আমিন নামে অপর এক মাদ্রাসার ছাত্র। এ ছাড়া ছাত্রী উত্ত্যক্ত, মাদক সেবনসহ নানা অভিযোগে আলগীর হোসেন নামে এক ব্যক্তিও রাকিবুজ্জামান রাকিবের বিরুদ্ধে উপজেলা নিবাহী কর্মকতা বরাবর অভিযোগ করেন। একের পর রাকিবুজ্জামান রাকিবের এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, ২৪ নভেম্বর হাতীবান্ধা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভোটমারী এলাকায় রাকিবুজ্জামান রাকিব ও তার সঙ্গীরা হাফিজুল ইসলামকে গতিরোধ করে মাথায় আঘাত করে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা লুট করে নেয়।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন আহত কলেজ ছাত্র হাফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, রাকিবুজ্জামান রাকিবের হামলা শিকার শুধু আমি একা নই, প্রায় সময় তার হামলার শিকার অনেকেই হয়ে থাকেন। মাথায় আঘাত পাওয়ায় আমি ভালো ভাবে কথা বলতে পারি না এবং স্বরণ শক্তি অনেকটা নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু মামলা হলেও এখনো এ ঘটনার মুল হোতা একাধিক মামলার আসামী রাকিবুজ্জামান রাকিবকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
এ বিষয়ে একাধিক বার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও রাকিবুজ্জামান রাকিবের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন, তাকে গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে ওই মামলার দুইজন আসামী আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।