দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধিনে অনুষ্ঠিতব্য এস,এস সি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে গাইবান্ধার ৩ টি শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ- সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও বেসরকারি – আহম্মেদ উদ্দিন শাহ শিশু নিকেতন স্কুল এন্ড কলেজের মধ্যে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় শীর্ষে রয়েছে।
গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ২শ ৪৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২শ৪৩ জন পাশ ও জিপিএ-৫ ১শ ৯২ জন পাওয়ায় ১ম স্থানে রয়েছে। ফেল করেছে ৪ জন। পাশের হার: ৯৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
“গাইবান্ধা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়” এই প্রতিষ্ঠানের ২শ ৩৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২শ ৩৪ জন পাশ করেছে। এতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১শ ৮৮ জন হয়ে ২য় স্থানে রয়েছে। অকৃতকার্য হয়েছে ২ জন ও পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ২জন। পাশের হার ৯৯ দশমিক ১৬ শতাংশ।
আহম্মেদ উদ্দিন শাহ শিশু নিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ: এই প্রতিষ্ঠানে মোট পরীক্ষার্থী ২শ ৫৭ জন। এতে পাশ করেছে ২শ ৪৯ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১শ ৫৯ জন। তবে অকৃতকার্য ৮ জন হওয়ায় পিছিয়ে রয়েছে। তবে করনা ভাইরাস, সন্তানদের পিছনে অভিভাবকদের দায়িত্বহীনতা, শিক্ষার্থীদের পাঠদানে অনীহা, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতি এই অকৃতকার্যের কারন বলে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা জানান।
অন্যদিকে- আসাদুজ্জামান স্কুল এন্ড কলেজ: এই প্রতিষ্ঠানে ১শ ৮৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১শ ৫২ জন পাশ করেছে। এতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ জন। ৩২জন অকৃতকার্য। পাশের হার ৮১ দশমিক ১৭।
এন, এইচ মর্ডান উচ্চ বিদ্যালয়: এই প্রতিষ্ঠানে ১শ ১৩জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭৩ জন কৃতকার্য হয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন।
“গাইবান্ধা আহম্মেদ উদ্দিন শাহ শিশু নিকেতন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জাহেদুল ইসলাম” বলেন- গতবছর করনা ভাইরাসের কারনে টেষ্ট পরীক্ষা না হওয়ায় শিক্ষার্থী বাছাই করতে না পাড়ায় ও ভালভাবে নার্সিং করতে না পারায় শতভাগ পাশ হয়নি। আশাকরি আগামীতে ভাল হবে।
“গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা” জানান- মানবিক শাখার শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো স্কুলে না আসায় ও না পড়ায় এই ফেল কারন।
“আসাদুজ্জামান স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রতিষ্ঠান প্রধান ইদ্রিশ আলী” জানান- শিক্ষার্থীরা বাসায় পড়াশোনা না করায় সন্তানদের লেখাপড়ার প্রতি অভিভাকদের নিদিষ্ট নজর না থাকায় অকৃতকার্যের প্রধান কারন। তিনি বলেন- অভিভাকরা সন্তানদের প্রতি আরো ভাল নজর রাখলে কাক্ষিত ফলাফল ভাল হত।
বিডি গাইবান্ধা/