জীবন রক্ষাকারী ঔষধ হিসেবে এন্টিবায়োটিক গুরুতপূর্ন। এন্টিমাইক্রোবিয়াল ড্রাগ মানে জীবাণু নাশক বা জীবাণুর প্রজনন স্তব্ধকারী ঔষধ বা প্রতিরোধ হিসাবে ব্যবহার করা হয় তবে অপ্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার এন্টিবায়োটিকরোধী জীবাণু তৈরীতে সাহায্য করে যা মানব দেহে অত্যন্ত ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত। বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৭ লক্ষ মানুষ মারা যায় এর অপব্যবহারে। আমাদের ঘরে ঘরে এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। ২০৪১ সালে উন্নত দেশের কাতারে আসতে এখন থেকেই আমাদেরকে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টান্স প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। উপরোক্ত কথা গুলো বলেন গাইবান্ধা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃমোঃ আব্দুল্লাহেল মাফি। ”সকলে মিলে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধ করি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব অ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ/২০২২ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতি বছরের মতো এ বছর ১৮ থেকে ২৪ নভেম্বর অ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ পালন করছে। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স (অকার্যকারিতা) সহনীয় মাত্রায় আনার জন্য চিকিৎসকসহ সব পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সচেতনতা তৈরিতে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। সপ্তাহ উপলক্ষ্যে ২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর গাইবান্ধা জেলার আয়োজনে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে র্যলিটি প্রদক্ষিণ করে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সভা কক্ষে ‘শীর্ষক আলোচনা’ সভায় বক্তব্য রাখেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর গাইবান্ধা সহকারি পরিচালক শিকদার কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা সদরের ডাঃ মোঃ নাজমুস সাকিব, ডাঃ মোঃ রশিদুল ইসলাম,সিভিল সার্জনের সিঃ স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার আমিরুল ইসলাম, বিসিডিএস গাইবান্ধার সভাপতি আলহাজ্ব আঃ রশিদ, বিসিডিএস গাইবান্ধার সহ- সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ম্যানেজার ফোরামের সাঃ সম্পাদক খন্দকার রবিউল ইসলাম, শাহাদত হোসেন সাগর, সদর ফারিয়ার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম,সাঃ সঃ সাজু মিয়া প্রমুখ। উনমুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, শধুমাত্র রেজিষ্টার্ড চিকিৎিসক এর প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক ঔষধ রোগীদের সরবরাহ করা যাবে না। এন্টিমাইক্রোবিয়াল এর কুফল সম্পর্কে জনগনকে অবহিত করতে হবে। এই জন্য দরকার জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। ভবিষৎতে আমরা সুস্থ জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টান্স প্রতিরোধ তৈরী করতে হবে। এখন সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বিপক্ষে সচেতন হওয়ার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে।