গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাটে মেসার্স তাহী ট্রেডার্স সার ও কিটনাশকের দোকানে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। ভুক্তভোগী দোকান মালিক ফিরোজ কবির মাসুম বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাদুল্লাপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ওয়াজেদ আলী সরকার ওরফে মমদেল ও তার জামাই মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বাড়ি ধাপেরহাট ইউনিয়নের হাসানপাড়া গ্রামে।

এরআগে, গত বুধবার (১৬ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে ধাপেরহাট পালানপাড়া মৌজাস্থ মেসার্স তাহী ট্রেডার্স সার ও কিটনাষকের দোকানে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

মামলায় বাদি দোকান মালিক ফিরোজ কবির মাসুম উল্লেখ করেন, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে ওয়াজেদ আলী সরকার ওরফে মমদেলের বিরুদ্ধে (২৭৫/২০) আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। গত ১৯ অক্টোবর আদালত ওই মামলায় মমদেলকে এক বছরের সাজা দিয়ে জেল হাজতে পাঠায়। গত ১৬ নভেম্বর মমদেল আদালতে আপিল আবেদনে জামিন নিয়ে বাড়ীতে আসেন। এরপর রাত ৮টার দিকে মমদেল তার জামাই মশিউরকে নিয়ে মেসার্স তাহী ট্রেডার্স সার ও কিটনাষকের দোকানে হামলা চালায়। এসময় তারা ধারালো হাসুয়া দিয়ে সাটার কেটে ভিতরে ঢুকে চেয়ার, টেবিল, টেলিভিশন ও কিটনাশক ঔষধ এবং সারের বস্তাসহ বিভিন্ন মালামাল ভাঙচুর-তছনছ করে। এতে বাধা দিলে তারা দোকানে থাকা ফিরোজ কবিরকে লাথ্থিসহ মারধর করেন। পরে দোকানের ক্যাশ ড্রয়ারের ভিতরে থাকা ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ টাকা বাহির করে নিয়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ফিরোজ কবির মাসুম বলেন, হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় দোকানের প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার মালামাল ক্ষতি সাধণ হয়েছে। তাদের মারধরে আহত হওয়ায় পর স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছি। জেল-হাজত থেকে বাড়িতে এসে মমদেল তার জামাই মশিউরের সঙ্গে পরামর্শ করেই দোকানে হামলার ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় মামলা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। দ্রুত মমদেল ও তার জামাই মশিউরকে গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় জানান, দুইজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ফিরোজ কবির। মামলা নং ১৫। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।