গাইবান্ধার ফুলছড়িতে পূর্ব শত্রতার জেরে আলফা বীমা ব্যাংক এর ইউনিট ম্যানেজার হাফেজ মোঃ হেদায়েতুল্লাহকে মারধর করে টাকা লুট করার অভিযোগ উঠেছে। আহত হেদায়েতুল্লাহ ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেশ কয়েকদিন চিকিৎসা শেষে চিকিৎসকের পরামর্শ অনযায়ী বর্তমানে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ ঘটনায় হেদায়েতুল্লাহর বাবা বাদি হয়ে ফুলছড়ি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। হাফেজ হেদায়েতুল্লাহ উপজেলায় হরিচন্ডী উনিয়নের সন্ন্যাসীর চর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।
অভিযোগে বলা হয়, ফুলছড়ি উপজেলায় হরিচন্ডী উনিয়নের সন্ন্যাসীর চর গ্রামের আব্দুস সালামের সাথে প্রতিবেশি মান্নান গংদের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
গত ৪ নভেম্বর সকাল ৮ টার দিকে আব্দুস সালামের ছেলে ও আলফা বীমা ব্যাংক এর ইউনিট ম্যানেজার হাফেজ মোঃ হেদায়েতুল্লাহ মোটরসাইকেল যোগে সন্যাসীর চর ঘাটে যাওয়ার সময় মান্নান গংদের বাড়ির সামনে পৌঁছলে পরিকল্পিতভাবে মান্নান ও তার লোকজন পথ রোধ করে এলোপাথারি মারধর করে গুরত্বর জখম করে। এসময় তারা বাঁশ-কাঠের লাটি দিয়ে হেদায়েতুল্লাহার বুকে পিঠে সজোরে আঘাত করলে সে গুরত্বর অসুস্থ্য হয়। এছাড়া হেদায়েতুল্লাহকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথায় আঘাত করা হয়। এতে তিনি গুরত্ব আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হেদায়েতুল্লাহর কাছে বীমা কোম্পানির জমাদানের জন্য থাকা ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা লুট করে নেওয়া হয়। পরে শহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি তার বাড়িতে খবর দিলে হরিচন্ডী ইউনিয়ের ইউপি সদস্য বাদশা মিয়ার সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হেদায়েতকে উদ্ধার করে ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ছেলেকে মারধর করে টাকা লুট করে নেওয়ার অভিযোগে হেদায়েতুল্লাহর বাবা বাদি হয়ে ওই এলাকার আব্দুল মান্নান, আবু সাঈদ, আনোয়ার হোসেন, সালাম মোহাম্মদ আল-আমিন, বাবু মিয়া, মমিনুল, ইসমতারা, ও শামসুন্নাহারেরর বিরুদ্ধে ফুলছড়ি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। ঘটনার সাতদিন পার হলেও এখনো মামলা নেয়নি পুলিশ।
এদিকে মামলার বাদি ও আহত হেদায়েতুল্লাহর বাবা জানান, তার পরিবারের লোকজন অতি সহজ সরল হওয়ায় তাদের উপর বার বার হামলা করছে মান্নান ফইসকা গংরা। তারা জোর করে আমার স্ত্রীকে দেওয়া সন্যাসী বাজারের জমি দখল করে নিয়েছে। এছাড়া আমার বাড়ি সংলগ্ন জমিও দখল করার পায়তারা করতেছে। মান্নান ফইসকা একজন লোভী ভূমিদস্যু। মান্নান ফইসকার হাত থেকে বাঁচতে মামলা দায়েরসহ উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
তবে অভিযুক্ত মান্নানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাওসার আলী বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।