গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেন। পেশায় কৃষক। এক আত্বীয়ের কাছ থেকে অনেক কষ্ট করে ১৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন তিনি। যথারীতি ওই জমিতে ধানও লাগান। কিন্তু একই এলাকার প্রভাবশালী নুরুন্নবী মিয়া ওই ১৩ শতাংশ জমি নিজেদের দখলীয় জমি দাবি করেন। পরে এ বিষয়ে কুপতলা ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেন আনোয়ার হোসেন। অভিযোগের তদন্ত শেষে ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের পক্ষে রায় দেন।
ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসনের অভিযোগ করে বলেন, ‘চেয়ারম্যানের রায় পাওয়ার পর গাইবান্ধা সদর থানার এসআই মাইদুল ইসলাম তাকে ফোন করে জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থানায় আনতে বলেন। কাগজপত্র দেখার পর ১০ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কোর্টে মামলা করে জমি উদ্ধারের কথা বলেন। পরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেন নুরুন্নবী মিয়া। সেই মামলায় আমি জেলে গেলে এই সুযোগে জমি দখল করে নুরুন্নবী ও তার লোকজন। জমির সকল বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্বেও জমিতে যেতে পারছি না আমি।’
এ ব্যাপারে কুপতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম তারা বলেন, দুই পক্ষকে ডেকে ইউনিয়ন পরিষদে একটি শালিশ করা হয়। শালিশে বৈধ কাগজধারীর পক্ষে রায় দেয়া হয়। এরপরেও দুই পক্ষ আপোষ না হলে আদালতে যাওয়ার কথা বলা হয়।
এদিকে, একই এলাকার মারামারির আরেকটি মামলায় গাইবান্ধা সদর থানার এসআই মাইদুলের বিরুদ্ধে নিরাপরাধ হারুন নামে এক ব্যক্তিকে মামলায় জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী হারুন মিয়ার স্ত্রী রশিদা বেগম ও তার মা হালিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলে জুম্মার নামাজ পড়ে মারামারি স্থলের একটি দোকানে যায়। কিন্তু অন্যায়ভাবে মামলায় হারুনের নাম দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন তারা।’
এ ব্যাপারে সদর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মাইদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, জমি সংক্রান্ত মামলায় পুলিশের পক্ষপাতিত্বের সুযোগ নেই। সকল অভিযোগ ভুয়া ও ভিত্তিহীন। তা ছাড়া নিরাপরাধ কোন ব্যক্তিকে ফাঁসানোর প্রশ্নই উঠে না। ঘটনার সাথে কারো সংশ্লিষ্টতা না থাকলে অভিযোগ পত্র থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়।’