গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বালু উত্তোলন, বিপণন ও পরিবহন বন্ধের কার্যক্রমকে স্থায়ী করতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন গোবিন্দগঞ্জ পৌর মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দুপুরে পৌরসভার হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় প্রিণ্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সামনে এসব বক্তব্য দেন মেয়র। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র-২ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রিমন তালুকদার, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রিপন, ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আল জাফু, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর জহুরা বেগম ও সাহানা বেগম।
পৌর মেয়র তার বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে করতোয়া নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় নদী তীরে ভাঙনের কবলে পড়েছে শত শত ঘর-বাড়ি। নদীতে অসংখ্যা চোরাবালির গর্ত তৈরী হওয়ায় ইতিমধ্যে শিশু সহ দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত ওজন নিয়ে ড্রাম ট্রাকগুলোর অবাধ চলাচলে পৌর সড়কগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অসংখ্যা খানা-খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় ছোট বড় যানবাহনগুলো দুর্ঘটনায় কবলিত হচ্ছে; পৌর শহরে তীব্র যানজট সহ শহর অপরিষ্কার হচ্ছে। সর্বোপরি রাস্তার ধারের ভবনগুলো কেঁপে উঠছে; কোথাও কোথাও তাতে ফাটল দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় পৌর কর্তৃপক্ষ বালু-মাটি পরিবহনে ড্রাম ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ ও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এর ধারাবাহিকতায় স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, থানা কর্তৃপক্ষ, এসপি অফিস ও গাইবান্ধা প্রশাসকের সহযোগিতা কামনা করে ইতিমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের সহযোগিতার পাশাপাশি পৌর নাগরিকদের সচেতনতায় বিগত ১৫দিন পৌর এলাকায় বালু উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অবৈধভাবে বালু-মাটি উত্তোলন, বিপণনকারীদের সাথে পরিবহন মালিকরাও অবৈধ টাকা উপার্জন করে কালো টাকার ক্ষমতা প্রয়োগের যেন সুযোগ না পায় সে লক্ষ্যে বালু উত্তোলন বিপণন ও ড্রাম ট্রাকে পরিবহন স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে। আর এর জন্য প্রশাসনিক ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সাথে প্রয়োজন সকল নাগরিকের সহযোগিতা। আমি আশা করি সকলের সহযোগিতায় বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকা এ অবৈধ বাণিজ্যকারীদের দৌরাত্ব বন্ধ হবে। ইনশাআল্লাহ..।
বক্তব্যের শেষ দিকে তিনি গত সোমবার (৩১ অক্টোবর) মন্ত্রিপরিষদের সচিব আনোয়ারুল ইসলামের একটি ব্রিফিংয়ের উদ্ধৃতি দেন। যেখানে গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাতের বেলা বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করেন।