গাইবান্ধার ফুলছড়িতে নিয়োগ বাণিজ্য করতে না পেরে ঈর্ষান্বিত হয়ে সদ্য এমপিও ঘোষিত উদাখালী মডেল কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি কর্তৃক কলেজ নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও সুনাম ক্ষুন্ন্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে কলেজের অধ্যক্ষ এনামুল হক।
মঙ্গলবার বিকেলে ফুলছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অধ্যক্ষ এনামুল হক বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক বিগত ১৪.১০.২০০৪ইং তারিখে নিয়োগপত্র প্রাপ্ত হয়ে ১৬.১০.২০০৪ইং তারিখে উদাখালী মডেল কলেজে ইসলামের ইতিহাস (প্রভাষক) পদে যোগদান করি। পরবর্তীতে অত্র কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ জনাব মোঃ ফিরোজ কবির কর্তৃক কলেজের বিভিন্ন অনিয়ম প্রমাণিত হলে তিনি স্বেচ্ছায় ০২.০৬.২০১৪ ইং তারিখে অব্যাহতি নেন। পরবর্তীতে কলেজের গভর্নিং বডি সরকারি বিধি মোতাবেক আমাকে ২০.১১.২০১৪ ইং অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রদান করলে ২২.১১.২০১৪ ইং তারিখে অত্র কলেজে যোগদান করি। আমি কলেজে যোগদানের পর থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য, প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, এলাকাবাসী ও সহকর্মীদের সহায়তায় সুনামের সহিত কলেজটি পরিচালনা করিয়া আসিতেছি। তিনি বলেন, গত ০৬.০৭.২০২২ তারিখে দেশরত্ন মানবতার মা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলেজটি এমপিও ভুক্তির আওতায় আনেন। কলেজটি এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ ফিরোজ কবির সদ্য সাবেক সভাপতি মোঃ রিপন তালুকদার, যোগসাজসে বিভিন্ন পদে অবৈধভাবে লোক নিয়োগের জন্য আমাকে চাপ সৃষ্টি করেন। উদাহরণ স্বরুপ কলেজের বাংলা প্রভাষক পদে এ কে এম শামসুজ্জোহা স্মারক নং-উমক (নিয়োগ) ০৮/০৫(১)/২০০০ তারিখ ২৫/০৫/২০০০ মোতাবেক নিয়োগ প্রাপ্ত ২৭/০৫/২০০০ ইং তারিখে যোগদান করেন। তিনি নিষ্ঠার সহিত ৩১/১২/২০০৩ পর্যন্ত পাঠদান করেন। যাহা উপস্থাপিত রেজুলেশন, নিয়োগপত্র, যোগদানপত্র ও হাজিরা খাতায় সংরক্ষিত আছে।
পরবর্তীতে তিনি সরকারি চাকুরি পেলে সেখানে যোগদান করেন। কিন্তু সদ্য সাবেক সভাপতি মোঃ রিপন তালুকদার ও সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ ফিরোজ কবির যোগসাজসে মোঃ সানাউর রহমান নামক জনৈক ব্যক্তিকে উক্ত পদে অবৈধ ভাবে নিয়োগের নিমিত্তে রেজুলেশন কাটাকাটি করে এ কে এম শামসুজ্জোহার স্থলে মোঃ সানাউর রহমানকে অর্ন্তভুক্ত করার জন্য আমাকে চাপ সৃষ্টি করেন। আমি রেগুলেশনে এ কে এম শামসুজ্জোহার স্থলে মোঃ সানাউর রহমানকে অর্ন্তভুক্ত করা সহ কয়েকজন কর্মচারীর অবৈধ নিয়োগ প্রদানে অসম্মতি জানাইলে সদ্য সাবেক সভাপতি মোঃ রিপন তালুকদার ঈর্শান্বিত হইয়া কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ ছাড়াই রেজুলেশন ব্যতিত এককভাবে আমাকে ১৬/১০/২০২২ইং তারিখে অবৈধভাবে সাময়িক বরখাস্ত করেন। যাহা আইনের পরিপন্থি। উল্লেখ্য সভাপতি পদে মোঃ রিপন তালুকদার এর মেয়াদ ছিল ১৮/১০/২০২২ তারিখ পর্যন্ত। এ বিষয়ে আমি গত ২৪/১০/২০২২ইং তারিখে দৈনিক মাধুকর পত্রিকায় প্রতিবাদ জানাই। এছাড়া আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় মনগড়া ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করছে। যার তীব্র প্রতিবাদ করছি। কলেজটির সার্বিক সফলতার জন্য আমি প্রশাসনসহ সকল মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ ও সহযোগীতার জন্য এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উদাখালী মডেল কলেজের বিগত এ্যাডহক কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি এস.এম মামরুদ হাসান, প্রভাষক ছাইদুর রহমান, আমিনুর রহমান, রুহুল আমিন, কবির হোসেন সহ অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ।