গাইবান্ধায় জেলা জাতীয় পার্টির আয়োজনে আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণ বিধি লংঘনের প্রতিবাদে এবং নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণ যোগ্য করতে ৭ দফা দাবী বাস্তবায়নে সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে এই সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুর রশীদ সরকার, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা সদস্য সচিব মোঃ সরওয়ার হোসেন শাহিন, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য ও জেলা শ্রমিক পার্টির সভাপতি রেজাউন্নবী রাজু এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রাহমান। সংবাদ সন্মেলনে বক্তাদের বক্তব্য ও লিখিত অভিযোগ পত্র হতে জানা যায়- নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন করে সরকারি দলের হুইপ এবং সাংসদ সরকারি দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাচ্ছেন এবং ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের বিভিন্ন ভাবে মানসিক চাপ সৃষ্টি করছেন। সরকারি দল ব্যতীত অন্য প্রার্থীদের নির্বাচনী ওয়ার্ক করতে বাঁধা দিচ্ছেন।সেই সাথে কর্মীদের মারধর করার অভিযোগও করেন তারা। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণ যোগ্য করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে ৭দফা দাবী পেশ করেন। দাবী সমূহ- ১। উপজেলা চেয়ারম্যানগণকে কেন্দ্রের পুলিং এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ না করা। ২।প্রত্যেক কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা। ৩। নির্বাচন কমিশন হতে কিংবা অন্য জেলা হতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা। ৪।ভোটের মাঠে পর্যাপ্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা। ৫।ভোটের দিন আমার কর্মী, নিয়োগকৃত পুলিং এজেন্ট গণ দায়িত্ব পালন করতে পারেন তাদের নিরাপত্তা প্রদান। ৬।ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের অবাধ তথ্য সংগ্রহের অনুমতি প্রদান। ৭। ৭অক্টোবর হতে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ করার প্রয়োজনীয় নির্দেশ দান। উপরোক্ত দাবী গুলো বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভোট হলে শতভাগ জয় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আতাউর রহমান।