সব ক্ষেত্রে শিক্ষাগত ও পেশাগত যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেয়া হলেও শুধু মাত্র এই সাংবাদিকতা পেশাকেই দিনে দিনে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। এখনেই ভাবতে হবে সাংবাদিকতা।কোন দিকে যাচ্ছে পেশা। তাই ভাবতে হবে সাংবাদিকতা নিয়ে এখনেই ভাববার সময়।দীর্ঘ এক মাস অনুসন্ধানের পর গাইবান্ধা জেলা থেকে অপ-সাংবাদিকতার এক ভয়ংকর তথ্য উঠে এসেছে। ৭ উপজেলার মধ্যে বেশি ভাগেই রয়েছে অপসাংবাদিকতার ব্যবহার ।
গাইবান্ধা জেলা বেশকটি উপজেলায় গোয়েন্দা সংস্থার চোখে নজরদারি মধ্যে রয়েছে সাংবাদিকতা।
সাংবাদিকতাকে পুঁজি করে আড়ালে চলছে দিনের পর দিন মাদক সেবন চিন্হিত মাদক সেবনকারী সাংবাদিকতার কার্ড বহন করছে। তথ্য রয়েছে প্রায় এক ডজন সাংবাদিক এর অন্তর্ভুক্ত।
তাঁরা শুধুমাত্র সাংবাদিক একটি কার্ড ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে করছে মাদক সেবন ও ব্যবসার জন্য । গাইবান্ধ সদর উপজেলাসহ বেশকটি ,উপজেলা বেশ ক’জন , মাদক কেনাবেচা সহ সেবনের সাথে জড়িত রয়েছেন বলে স্থানীয় একাধীক সূত্র জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে, প্রসাসনের কাছে জানতে চাইলে নজরদারী আছে ব’লে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সবচেয়ে বেশি ভয়ংকর হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এ-ই পেশাকে পুঁজি করে করছে মাদক সেবনসহ ব্যবসা আরও বেশকিছু অপরাধ। সবচেয়ে এই পেশায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে মাদক সেবনকারী,মাদক ব্যবসায়ী,গাড়ির ড্রাইভার, দালাল, নারী কেলেঙ্কারি, সুদ-ব্যবসায়ীসহ এই সাংবাদিকতা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে ফটোকপি দোকানদার,ফলের দোকানদার, ভাংরীর দোকানদার, মাংস বিক্রেতা,গানের শিল্পী, গাড়ির ড্রাইভার,সহ এ-ই পেশায় তড়িত-গতিতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। যা ভাবিয়ে তুলছে শিক্ষিত ও সুশীল সমাজকে।
অন্যদিকে হাইস্কুলের শিক্ষক, কলেজ শিক্ষক,রয়েছেন এই পেশায় তারা আবার ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে সাংবাদিকতা।
বিশিষ্ট লেখকও গবেষকরা উল্লেখ করছেন, আইন প্রনয়ণ ও শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ না করার কারণে এই পেশার এই অবস্থা। যদি এ-ই পেশায় নিয়ম- কানুন বিধান কঠোরতম করা হত তাহলে দেশের ভাবমূর্তি আরও বেশি উজ্জ্বল হতো।
সাংবাদিক নিয়োগ বাণিজ্য চলছে চলুক কিন্তু ইয়াবাখোর, মাদক ব্যবসায়ী, চোর, ছিনতাইকারী, বাটপার, লুটেরা, ও সাজাপ্রাপ্ত আসামীদেরকে টাকার বিনিময়ে প্রেস কার্ড দেয়াটা যেমন ভয়ঙ্কর তেমন সুশাসনের জন্য বিপদজ্জনক।
তাদেরকে কার্ড দিয়ে রাস্তায় ধান্ধা করার জন্য ছেড়ে দিয়ে এই পেশাকে শেষ করে দিয়েছে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী। কারণ আগে এই পেশা করত সুশীল ব্যক্তিরা লেখক গবেষকরা বুদ্ধিমত্বরা,
আর এখন এই নিউজ মিডিয়া চালায় ব্যবসায়ীরা ও রাজনীতিবিদরা।
যে ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকদের ভয়ে দু -নাম্বারী করতে পারত না আর এখনও সেই ব্যবসায়ীদের পা চলতে হয় আর পেশাটাকেও চলতে হয়। এখন এইভাবেই চলে আর চলবে। কারন এই মিডিয়া এখন তাদের দখলে। সাংবাদিক ও সাংবাদিকতা শুধু নামে মাত্র। দুধের স্বাদ ঘুলে মেটানোর মতই।
এমনিতেই এই পেশার জৌলুশ ও গৌরব মৃত। তার উপর ব্যবসায়ী সাংবাদিকরা টাকার বিনিময়ে কার্ড বিক্রি করে পেশাটাকে ব্যবসায় পরিনত করেছে। এখন এই পেশায় আসতে হলে যোগ্যতা বা শিক্ষা কিছুই লাগেনা। লাগে শুধু টাকা। এই পেশার মান যতটুকুই আছে সেইটুকুকে অন্ততপক্ষে রক্ষা করা যায়। কথায় আছে ” আদা পচে গেলেও ঝাঁচ থাকে”।
এই সাংবাদিকতা পেশায় উচ্চশিক্ষা আবশ্যক। কারণ তাকে আইন, শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রশাসন, বিজ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তিসহ সব ধরনের জ্ঞান রাখতে হয়। তাই এই পেশায় আসতে হলে শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে অনার্স/ ডিগ্রি করা হউক। । নইলে এই পেশার ঐতিহ্য অচিরেই নষ্ট হয়ে যাবে। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি বিষয়ে অনুরোধ রইল।