“দুধ দিচ্ছে পাঁঠা। কথাটি শুনতে অবাক লাগলেও এমনই ঘটনা ঘটেছে গাইবান্ধার সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের চকচকা গ্রামে। পাঁঠাটিকে দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছে শতশত মানুষ।” সরেজমিনে জানা যায়- চকচকা গ্রামের মৃত মজনু মৃধার ছেলে গরু ব্যবসায়ী মোঃ মোনারুল মৃধা ১মাস ২৪ দিন পূর্বে চট্টগ্রাম পাহাড় তলি থেকে ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করে এই পাঁঠা। পাঁঠার বয়স চার দাঁত। এটি ক্রয় করে বাড়িতে আনার পর থেকে প্রতিদিন আঁধা লিটার করে দুধ দিচ্ছে। একই সাথে প্রজনন কাজে ব্যবহার হচ্ছে। এমনই অবাক করা কথা জানালেন মোনারুল। বিষয়টি লোক মুখে ছড়িয়ে পড়লে পাঁঠাকে একনজর দেখতে প্রতিদিনে শতশত মানুষের ঢল নামে মোনারুলের বাড়িতে। ভীড় জমায় ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদক্রমী। বাদ পড়েনি অনলাইন টিভি।গাইবান্ধা জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাছুদার রহমান সরকার বিডি গাইবান্ধা ডট নিউজ গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিকে বলেন- পাঁঠাটি দুধ দিচ্ছে,সেই সাথে প্রজনন কাজেও ব্যবহার হচ্ছে। ছাগলের দুধ উৎকৃষ্ট। সেই হিসেবে এই দুধ মানুষের জন্য পুষ্টিকর। তিনি আরো বলেন- এটি একটি জেনিটাল এ্যানোমেলিক উইথ হরমোনাল ইন ব্যালেন্স জাতীয় ঘটনা। পাঁঠা মালিক আক্ষেপের সাথে বলেন- এই পাঁঠা ক্রয় করার পর থেকে সাধারণ জনগণের কারনে কোন কাজ করতে পারিনা। সারাদিন লোকজন আসে। পাঁঠাকে নিয়ে বড়ই বিপদে পড়েছি। টাকার অভাবে খাওয়াতে পারছিনা। তাই এটি বিক্রি করব। তবে এই দুধ অনেকে রোগের পথ্য হিসেবে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানান মোনারুল। সাহাপাড়া ইউনিয়নের দায়িত্বরত এলএসপি আল আমিন বলেন- এটি অলৌকিক ঘটনা মনে হলেও বাস্তব সত্য ঘটনা। পাঁঠাটি দুধ এবং প্রজনন কাজে ব্যবহার হচ্ছে। সাদুল্লাপুর ভাতগ্রাম থেকে আগত দর্শনার্থী অলি আমান বলেন- আমি লোক মুখে শুনে বিশ্বাস করিনি। তাই এসেছি দেখতে। পাঁঠা দিচ্ছে দুধ দেখে অবাক হলাম।
সত্তরোর্ধ বৃদ্ধ করিম মুন্সি বলেন- আমার জীবনে এমন ঘটনা শুনিনি। আমরা শেষ জামানায় পড়েছি। সব আল্লাহর কুদরত। তারই লিলা খেলা।