গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম কাজের বিনিময়ে উৎকোচ গ্রহণসহ দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সাদুল্লাপুর উপজেলায় কর্মরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ দূর্নীতিবাজ অফিসারের অপসারণ ও শাস্তির দাবীতে রবিবার সকালে উপজেলা চত্বরে আলোচনা কর্মসূচি পালন করেন। এবিষয়ে মহা হিসাব নিয়ন্ত্রক সেগুন বাগিচা ঢাকা বরাবর একটি অভিযোগপত্র প্রেরণ করেন শিক্ষকবৃন্দ। অভিযোগ পত্র ও ভুক্তভোগীর বক্তব্য হতে জানা যায় – সাদুল্লাপুর উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার শরিফুল ইসলাম অত্র উপজেলায় যোগদানের পর হতে বিভিন্ন অনিয়ম কাজের বিনিময়ে উৎকোচ গ্রহণ, কোন কাজ অর্থ গ্রহণ ছাড়া করেননা। বিভিন্ন কর্মচারীদের সাথে অসাদাচরণ, দরজা বন্ধ করে কাজ করা, ইএফটিতে মাসিক বিল প্রদানে খামখেয়ালিপনা, বকেয়া বিল প্রদানে চরম হয়রানী, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড প্রদানে সরকারি নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন। স্লিপ বরাদ্দ ও রুটিন মেরামত বরাদ্দের অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণসহ বহুবিধ অভিযোগ উঠেছে। সেই সাথে অসুস্থ পেনশনারূের ই,এল,পি,সি লামগ্রান্ড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে হয়রানি ও অর্থ গ্রহণের অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।ভুক্তভোগী অবসর প্রাপ্ত সহকারী শিক্ষিকা মাহমুদা খাতুন বলেন- আমি ২০২০ সালে অবসরে যাই।সকল কাগজপত্র সঠিক থাকার পরও মোটা অংকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় পেনশনের টাকা পাচ্ছিনা।অসুস্থ ছেলে মেয়েকে নিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছি।
এছাড়াও হয়রানির শিকার প্রধান শিক্ষক শহিদুর রহমান, মতলুবর রহমান, মেরিনা মোস্তফা, সাইফুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষিকা রোজিনা আক্তারজাহানসহ অনেকে। হয়রানি ও উৎকোচ গ্রহণের সত্যতা স্বীকার করে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন- ট্রেজারী অফিসার যোগদানের পর হতে টাকা গ্রহণ ছাড়া কোন কাজ করেননা।সঠিক কাজ নিয়ে গেলেও টাকা ব্যতীত করেননা। তার অফিসের অডিড অফিসার জয়ন্তী ও অফিস সহায়ক মানিকের মাধ্যমে সকল উৎকোচ গ্রহণ দূর্নীতি করেন হিসাব রক্ষণ অফিসার। তাই এই দূর্নীতিবাজ অফিসার শরিফুল,জয়ন্তী ও মানিকের অপসারণ সহ শাস্তি দাবী করেন তিনি। অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন তিনি। আমাকে ফাসানো হচ্ছে। এবিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তা তদন্তে এসেছেন। তদন্তে ন্যায় বিচার পাবেন এমনটাই আশাবাদী শরিফুল ইসলাম। এদিকে অভিযোগ হওয়ায়
তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির দায়িত্বে থাকা রংপুর ডেপুটি ডিভিশনাল কন্ট্রোল অব একাউন্স কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম খান, জেলা নিরীক্ষা ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শাহজাহান আলী ও অডিটর হায়দারুল ইসলাম তদন্ত শেষে সাংবাদিকদের তদন্তকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন- আমরা তদন্ত করেছি। এই তদন্তের সঠিক তথ্য উর্ধতন সংশ্লিষ্টদের নিকট প্রেরণ করা হবে।