গাইবান্ধা জেলা শহরের অলিগলিতে চলছে মাদকের কেনাবেচা। শহরের ২০টিরও বেশী স্পটে মাদক কেনাবেচা হলেও নিরব সদর থানা পুলিশ। এতে শহর জুরে বৃদ্ধি পেয়েছে মাদকসেবীর সংখ্যা। মাদকের টাকা যোগাতে শহরে প্রতিদিন ঘটছে চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপকর্ম। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবন নিয়ে শঙ্কায় অভিভাবকবৃন্দ।
চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের নিযুক্ত করা বিক্রেতারা প্রতিদিন শহরের গোরস্থান মোড়, আলমদিনা মার্কেটের পিছনে, স্টেডিয়াম এলাকা, পুরাতন আদালত চত্বর, রেললাইন এলাকা, রেলস্টেশন, বানিয়ারযান আলাই নদীর পাড়, অফিসার্স ক্লাব ও টেনিস ক্লাব সংলগ্ন, বীরশহীদ স্মৃতি স্তম্ভ এলাকা, বাস টার্মিনাল, রেলষ্টেশন, রাতে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, বাংলাবাজার গেজেটেট অফিসার্স কোয়ার্টারসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিক্রি করছে।মাদক কেনা বেচার এলাকা হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে শহরের এসব এলাকা। এসব এলাকায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পর চলছে সদর থানা পুলিশের নাকের ডগার উপর মাদক কেনাবেচা। পুলিশ প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা মাদক নির্মূলের প্রতিশ্রæতি দিলেও সদর থানা পুলিশের নিরবতায় জন মনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের চাপেঁ মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের মাদকের চালানসহ আটক করলেও সেখানেও ধরা ও ছাড়ার বানিজ্য হয় সদর থানায় বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি এসব এলাকার মানুষ।
মানবাধিকারকর্মি সালাউদ্দিন কাশেম বলেন, পুলিশ যদি ঠিকভাবে তৎপর হয়, তাহলে শহর থেকে সাত দিনের মধ্যে মাদকমুক্ত করা সম্ভব। অজানা কারণে বন্ধ হচ্ছে না মাদকের বিস্তার।
শহরের ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান মন্ডল জানান, শহর জুড়ে জমজমাট মাদক ব্যবসা চলছে। চিহ্নিত স্পট এর পাশাপাশি শহরের অনেক ব্যাক্তিগত অফিস, দোকান এবং বিভিন্ন প্রতিষ্টানের আড়ালে মাদকের ব্যবসা করে আসছে অনেক ব্যাক্তি। শহরের মধ্যে এভাবে মাদক কেনাবেচা ও সেবন চললেও থানা পুলিশের যেন কোন মাথা নেই। এতে স্কুল ও কলেজগামী ছেলেরা বিপথে যাচ্ছে।
মাদক এর এমন রমরমা ব্যবসার ফলে দূঃচিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকরা। সেই সাথে মাদকের টাকা যোগাতে শহরজুড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে চুরি। প্রতিদিন কোন কোন পাড়ায় ঘটছে চুরি ও ছিনতাই। শহরের পাশাপাশি সদর উপজেলার কামারজানি, বোয়ালি, রামচন্দ্রপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে মাদকের ছড়াছড়ি।