অচেনা এক প্রাণীর আক্রমণে হতাহতের ঘটনায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম পরিদর্শন করেছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
রবিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী থেকে আসা বন বিভাগের একটি টিম হরিনাথপুরের কেঁওয়াবাড়ি গ্রামে এসে পৌঁছায়। পরে তারা হরিণাবাড়ি, তালক জামিয়া, কুমিতপুর ও দেওয়ানের বাজারসহ হরিনাথপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখেন।
রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবীবের নেতৃত্বে চার সদস্যের পরিদর্শন টিমে ছিলেন, রাজশাহী বন বিভাগের ওয়াইলাইফ রেঞ্জার মো. হেলিম রায়হান, অফিস সহকারী সোহেল রানা ও লালন উদ্দিন।
পরিদর্শন টিমটি অচেনা প্রাণীর হামলায় আহত ও নিহতদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তাদের পরিবারের খোঁজ খবর নেয়। এসময় তারা এলাকার মানুষের সঙ্গেও কথা বলেন। প্রাণীটির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে গ্রামবাসীকে আগুন জ্বালানো এবং উচ্চ শব্দ করার পাশাপাশি বিভিন্ন সচেতনতামূলক পরামর্শও দেন টিমটি।
পরিদর্শন শেষে টিম প্রধান রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবীব সাংবাদিকদের বলেন, ‘চারপাশে ধান ক্ষেত ও জঙ্গল থাকায় অচেনা প্রাণীটিতে শনাক্ত করা কিছুটা কঠিন। সাময়িক সময়ের জন্য মানুষকে প্রথমত সাবধানে চলাফেরার পাশাপাশি আগুন জ্বালিয়ে এবং উচ্চ শব্দ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রাণীটির হামলার শিকার মানুষকে চিকিৎসা নেওয়ার পাশাপাশি ভ্যানসিন নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়। মানুষের সচেতনতা এবং প্রকৃতি প্রাণী সংরক্ষণের জন্য এলাকায় হ্যান্ড বিল ও লিফলেট দিয়েও প্রচারণার করার কথা জানান তিনি। ‘
এরআগে, গত এক মাসে প্রাণীটির আক্রমণে হরিনাথপুর, তালুকজামিয়া, কেঁওয়াবাড়ি, দেওয়ানের বাজার ও কুমতিপুর গ্রামের শিশুসহ অন্তত ১০ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। আক্রমণের শিকার হয়ে মারা গেছেন ফেরদৌস সরকার রুকু (৫৫) নামে মসজিদের এক ঈমাম। এছাড়া প্রাণীটির আক্রমণে দুটি কুকুরের মৃত্যুও হয়েছে।
এদিকে, অচেনা প্রাণীর আক্রমণের ঘটনায় ভয়-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামজুড়েই। দিনের বেলাতেও মানুষ চলাচল করতে ভয় পাচ্ছেন। প্রাণীটির আক্রমণ থেকে বাঁচতে লাঠি হাতে চলাফেরা করছেন গ্রামের মানুষরা।
বিডি গাইবান্ধা ডট নিউজ / সম্পাদক