প্রকাশ্যে হত্যাকান্ডের আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আশিকুর রহমান রকি হত্যার মূল আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সেই সাথে হত্যার রহস্যও উদঘাটন করতে পারেনি তারা। তাই এই ছাত্রলীগ নেতার হত্যাকারী সকল আসামীকে অতিদ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে ফুলছড়ি উপজেলার মধ্য কঞ্চিপাড়া গ্রামে আশিকুর রহমান রকির বাড়িতে এলাকাবাসী ও বন্ধুমহলের পক্ষ থেকে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত আশিকুর রহমান রকির বড় ভাই মোঃ আতিকুর রহমান রোস্তম।
লিখিত বক্তব্যে মোঃ আতিকুর রহমান রোস্তম বলেন, আমার ছোট ভাই ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আশিকুর রহমান রকি দীর্ঘদিন ধরেই বেশ সুনামের সাথে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে আসছে। এমতাবস্থায় চলতি বছরের ১১ জুলাই রাত সাড়ে নয়টার দিকে অসুস্থ্য মায়ের ওষুধ কিনে গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে ফুলছড়ি উপজেলার মধ্য কঞ্চিপাড়া গ্রামের বাসায় ফিরছিলেন। ফেরার পথে গাইবান্ধা-বালাসীঘাট সড়কের গাইবান্ধা পৌরসভা এলাকায় হালিম বিড়ি ফ্যাক্টরির মোড়ে আমার ভাই ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আশিকুর রহমান রকিকে নৃশংসভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
এই হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী গাইবান্ধা পৌরসভার পূর্বপাড়া এলাকার মোঃ কাঞ্চন ও ইমরান খান। তাদের সহযোগি ছিল মানিক মিয়া ও সোহাগ মিয়াসহ বেশ কয়েকজন। আসামীরা জনসম্মুখে আমার ভাইকে খুন করলেও পুলিশ এজাহারভূক্ত মূল আসামীসহ অন্যদের আজও গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশ এজাহারভূক্ত মাত্র একজন ও অজ্ঞাতনামা চার আসামীকে গ্রেফতার করে বসে আছে। মোঃ আতিকুর রহমান রোস্তম আরও উল্লেখ করেন, এতো উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি থাকার পরও মূল আসামীসহ অন্য আর কোন আসামীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারছে না। যা আমাদেরকে উদ্বিগ্ন করছে। সেই সাথে আশিকুর রহমান রকি হত্যার রহস্য বা কি কারণে তাকে হত্যা করা হলো তাও পুলিশ জানাতে পারেনি। আমার ভাইকে বিনাকারণে হত্যা করা হয়নি। এর পেছনে অন্য কোন রহস্য আছে। আর তাই রহস্যের উদঘাটনসহ আমার ভাইকে হত্যায় যেসব আসামী জড়িত তাদের প্রত্যেককে অতিদ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি করেন মোঃ আতিকুর রহমান রোস্তম।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ফুলছড়ি উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ এটিএম রাশেদুজ্জামান রোকন, গাইবান্ধা পৌরসভার সাবেক কমিশনার আবু আল খায়ের সাহী, নিহত রকির বড় বোন হাছিনা বেগম, চাচা আবদুল হালিম, ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান প্রমুখ।