দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখার আহবায়ক ও ধাপেরহাট প্রেসক্লাবের সদস্য, সিনিয়র সাংবাদিক আঃ কাফি সরকার শনিবার রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট থেকে মটর বাইক যোগে বাড়ী ফেরার পথে বকশীগঞ্জ মুচির টেকানি নামক স্থানে পৌছিলে ৪/৫জন দূর্বৃত্ত লোহার রড, ও ধারালো অস্ত্র দ্বারা তার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তার চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নেয়া হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আহত সিনিয়র সাংবাদিক কাফি সরকারের ছেলে সোহরাব হোসেন ফিরোজ জানান যে , সংবাদ প্রকাশের জের ধরে তার উপর এ হামলা। গত কিছু দিন পূর্বে সাংবাদিক কাফি সরকার মোটরসাইকেল চুরির সিন্ডিকেট কে নিয়ে একটি নিউজ প্রকাশ করে। সেই নিউজের সূত্র ধরে পুলিশ উক্ত সিন্ডিকেটের মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করে।সম্প্রতি সেই মোটরসাইকেল চুরির সিন্ডিকেটের সদস্যরা জেলহাজত থেকে বেড়িয়ে এসে তার উপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে বলে দাবী তার পরিবারের।
তিনি আরো জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা জখম করেছে এবং তার দুটি পা ভেঙ্গে দিয়েছে। এ নিয়ে ৫ জনকে আসামী করে সাদুল্লাপুর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। অপর দিকে সাংবাদিক কাফির উপর সন্ত্রাসি হামলার প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন পৃথক পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন।
উল্লেখ, তিনি গঙ্গানারায়নপুর কফিল উদ্দিন সরকার এর পুত্র। তিনি দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন পত্রিকায় উপজেলা ও জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন।
তার উপর বর্বরোচিত হামলার নিন্দা ও সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী করেন উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা,সুশীল সমাজ,বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
সাংবাদিকের উপর হামলার বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার নবাগত থানা অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার রায় বলেন,হামলার বিষয়ে আমি জেনেছি। অভিযোগ না হলেও দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।.