গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়নের কয়াছয়ঘরিয়ায় অন্ধ মঞ্জু মিয়ার পরিবারকে অংকুর ফাউন্ডেশন কর্তৃক দোকানের মালামাল প্রদান। মনজু মিয়া হাফিজার রহমান পুত্র।
জানা গেছে, হাফিজার মিয়ার ৪ ছেলে ২ মেয়ে মোট ৬ সন্তানের মধ্যে ২ ছেলে ও ১ মেয়ে মোট ৩ সন্তানই জম্নান্ধ। মনজু মিয়া তার ২ য় সন্তান। জম্ন থেকেই অন্ধ। অন্ধ হওয়ার কারনে ভিক্ষা করতেও পারে না।
হাফিজার মিয়ারও বেশ বয়স হয়েছে। এ বয়সেও রিকশা চালিয়ে অন্ধত্ব পরিবারের হাল ধরে আছে। ইঞ্জিন রিকশা বলে কোন রকম পারেন। নইলে না খেয়েই মরতে হতো হয়তো। অন্ধ মেয়েটাকে বিয়ে দিয়ে ছিল। কিন্তু তার সংসারও টেকে নাই। একটা সন্তান হাওয়ার পরই স্বামী আর কোন খবর নেয়না। এ যেন সিনেমার গল্পকেও হার মানায়।
তবুও থেমে থাকে না জীবন। মনজু মিয়াও বিয়ে করেছে। ২ সন্তানের পিতা। প্রতিবন্ধি ভাতার কয়েকটা টাকা দিয়েই চলে যায় সারাটা মাস।
রাস্তার সাথে বাড়ি হওয়ায় দোকানের একটা ছাপরা করেছে। বউটা/মা যদি কিছুটা জিনিস তুলে ব্যবসা করতে পারেন। কিন্তু টাকা কোথায়?
ওদের দূরাবস্তা এবং বাঁচার আগ্রহ দেখে – মানবতার সেবক অংকুর ফাউন্ডেশন এগিয়ে আসেন সহায়তার হাত বাড়িয়ে।
অংকুর ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় দোকান করার জন্য চাল, ডাল, তেল, লবন সহ ৭১ প্রকার জিনিসপত্র কিনে দেন। এতে যদি ওদের এতটুকু শান্তির সহায়তা হয় তবেই অংকুর ফাউন্ডেশন সফলতা।
উক্ত মালামান প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- অংকুর ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা সুকমল মজুমদার, ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিদুৎ বিভাগ অবসর প্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার, মোঃ আইয়ুব আলী, গাইবান্ধার বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও মেসার্স দূর্গা ভান্ডারের সত্বাধীকারি রবীন্দ্রনাথ সাহা।
উল্লেখ্য, অংকুর ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাকালীন থেকেই বিভিন্ন সেবামূলক কাজ চালিয়ে আসছে।
বিডি গাইবান্ধা/