গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুরে জাতীয় মহাসড়ক সংলগ্ন চকনদী গ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করে হানিফ পরিবহনে ডাকাতির ঘটনায় ১ জন কে গ্রেফতার করেছে।
৪ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত চালানো অভিযানে ইদিলপুর ইউনিয়নের চকনদী গ্রাম থেকে মৃতঃ আঃ রাজ্জাকের পুত্র রিয়াজুল ওরফে লালু ড্রাইভার (২২) কে তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায় গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহনে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়। যাত্রী বেশী ৫ সদস্যের ডাকাত দল গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট সংলগ্ন পীরগঞ্জের জগন্নাথপুর গ্রামে অবস্থিত মানিক পাম্প থেকে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রংপুরের শটিবাড়ী পর্যন্ত ডাকাতি করে শটিবাড়ীর ভাবনা পাম্প থেকে বাস ঘুরিয়ে নিয়ে সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট টু পলাশবাড়ীর মাঝামাঝি রংপুরের পীরগঞ্জ থানার কাবিলপুর ইউনিয়নের চাম্পাগঞ্জের চকশোলাগাড়ী নামকস্হানের জাতীয় মহাসড়কে গাড়ি রেখে পালিয়ে যায় ডাকাত দল।
এ ডাকাতির ঘটনায় হানিফ পরিবহন ড্রাইভার মন্জু মিয়া(৫০)কে ছুরি দিয়ে এ্যালোপাতাড়ি আঘাত করলে তাকে পলাশবাড়ী হাসপাতালে নেওয়া হয় সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। ঘটনাস্থল রংপুরের পীরগঞ্জ থানার সীমানায় হওয়া হানিফ পরিবহনের সুপারভাইজার বাদী হয় পীরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
সেই ডাকাতির ঘটনায় লালু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়।তার দেয়া তথ্য মতে নিজ বাড়ীর টয়লেট থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ৩/৪ টি ধারালো ছুরি উদ্ধার করেছে বলে জানায়। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গনমাধ্যম কর্মীদের তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।
এলাকাবাসীরা জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভিক্ষুক সেজে এলাকায় প্রবেশ করে লালুকে গ্রেফতার করে ও তার দেয়া তথ্য মতে তার নিজবাড়ীর টয়লেট থেকে দীর্ঘ সময় অভিযান পরিচালনা করে ৩/৪টি ধারালো ছুরি উদ্ধার করে।
এ সময় এলাকায় উৎসুক জনতার ভীড় কমাতে মোতায়েন করা হয় পীরগঞ্জ ও সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট পুলিশ তদন্তের ১৫/২০ জন পুলিশ সদস্য।
তাছাড়া ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করার সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি টিম, রংপুর সি সার্কেল ও রংপুর পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সরেস চন্দ্র।পরে সেখানে উপস্থিত হয় সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার (তদন্ত ওসি) মোস্তাফিজার রহমান।