মঙ্গলবার বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।
এরআগে, গত বৃহস্পতিবার (২৬ আগষ্ট) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুরের সহকারী পরিচালক মো. হোসাইন শরীফ বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ধর্মীয় সভার অনুকূলে ৫ হাজার ৮২৩ মেট্টিক টন জিআর প্রকল্পের চাল বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু আসামিগণ পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতির আশ্রয়গ্রহণ পূর্বক প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাল কাগজপত্র সৃজন করে বরাদ্দের চাল উত্তোলনপূর্বক কালোবাজারে বিক্রি করে ২২ কোটি ৩ লাখ ২১ হাজার ৫৯০ টাকা আত্মসাত করেন। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহরিুল ইসলাম, কামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাহেদ হোসেন চৌধুরী, কাটাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম (রফিক), শাখাহার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাহাজুল ইসলাম, রাজাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ সরকার, সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাকিল আলম, দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ. র. ম. শরিফুল ইসলাম জজ, তালুককানুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিবুর রহমান আতিক, নাকাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদর প্রধান, রাখালবুরুজ ইউনিয়ন পরিষদের শাহদাত হোসেন, ফুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মোল্লা, গুমানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরী মোস্তফা জগলুল রশদি রিপন, কামারদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরফিুল ইসলাম রতন, কোচাশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, শবিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মণ্ডল, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরষিদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, শালমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমি হোসেন শামীম, গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর গোলাপী বেগম ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আকতারা বেগম।