২০২১সালে গাইবান্ধা জেলায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১২৫টি। গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানা গেছে। গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের রেকর্ড ফাইল অনুযায়ী জানিয়াছেন সদর হাসপাতালের অফিস সহকারী মাসুদার রহমান
তবে বিদায়ী ১ বছরে এ জেলায় ২০২০ সালে ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছিল ২২০টি
গাইবান্ধায় ২০২১সালের জানুয়ারি থেকে আগষ্ট মাস পর্যন্ত এ প্রতিবেদন তৈরি করে, গত কয়েক বছর ধরে উদ্বেগজনক হারে ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধিসহ নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয় বলে জানা গেছে।
তবে বেশির ভাগেই অল্প বয়সের মেয়েরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারনে বেশি ধষর্ণ হয় বলে দোষছেন লেখক ও গবেষকরা, মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক একপর্যায়ে তারা অবৈধ মেলামেশায় লিপ্ত হয়, জোর করে ধষর্ণসহ, পরকিয়া সমপর্ক,স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য এর কারন বলেও উল্লেখ করেন। দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ঘটনাবহ ধষর্ণ, অন্যদিকে ধর্ষনের শিকার হওয়া পরিবারটি সারা জিবনের জন্য পারিবারিক ভাবে মুখলজ্জায় পরে যায়, এতে করে মেয়েটির জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার, আবার কোন সময় ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েটি আত্মহত্যার পথ বেচে নেয় বলে জানা গেছে।
আবার কিছু পরিবার গরিব হওয়ায় যা প্রভাবশালীর খপ্পরে পরে ভিন্নখাতে রুপ নেয় যা কিছু টাকার বিনিময়ে মিমাংসাও হয়ে যায়। এছাড়াও শালিশ বৈঠক করে অনেকে মিমাংসা করে নেয়। এতে করে ওই ধর্ষণকারী আরো ভয়ংকর হয়ে যায়। আবার যথাযথ প্রমান না থাকায় আইনের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যায় ধর্ষণকারী।
এবিষয়ে রাইট টু লাইফ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন মানুষের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও আইনের মাধ্যমে কঠোর শাস্তির যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন নিশ্চিত করলে তা কমিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব বলে মনে করেন।
অন্যদিকে মানবাধিকার কর্মী সালাউদ্দিন কাসেম মনে করেন আইনের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হওয়া মেয়েটির পূর্নবাসন সহ এর মানুষিক ভাবে বেড়ে উঠা ও তার বিনা খরচে আইনি সহায়তা প্রয়োজন বলেও মনে করেন।
এতে করে আইনের মাধ্যমে ওই বখাটের শাস্তি যেমন নিশ্চিত হবে তেমনি শারিরিক নির্যাতনের শিকারও কম হবে বলে জানান।